বরিশাল সিটি কর্পোরেশেনর পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা সংকটময় মুহুর্তেও যথানিয়মে কোন অযুহাত ছাড়াই নগর পরিষ্কারের কাজটি করে যাচ্ছেন। ফলে শহরের রাস্তাঘাটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অর্থাৎ ঝকঝকে তকতকেই থাকছে। আর এ ঝকঝকে তকতকে রাখতে প্রয়োজনবোধে পায়ে বুট, হাতে গ্লোভস আর মুখে মুখোশও ব্যবহার করছেন তারা। যদিও সাধারণ নগরবাসীর অসহযোগিতা দুঃখ রয়েছে তাদের, তারপরও নগর পরিষ্কার রাখার কাজটিতে অনীহা নেই এসব পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের। বরং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি, সড়কে জীবানুনাশক তরল ছিটানো, মশক নিধনে স্প্রে ও ড্রেন পরিষ্কারের কাজটি করছেন পুরোদমে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, পরিচ্ছন্নতা বিভাগে প্রায় ১ হাজার কর্মী রয়েছে বর্তমানে। যাদের মধ্যে একটি বড় অংশ নগরের ত্রিশটি ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট ও ফুটপাত ঝাড়ু দেয়ার কাজ করেন। অপর একটি অংশ ড্রেন ও নালা পরিষ্কারের কাজ করে থাকেন। এছাড়া ছোট ভ্যান ও পিকআপে করে নগরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি এবং নির্ধারিত স্থানের ময়লা ডাম্পিং প্লেসে নেয়ার কাজটি করেন অন্য একটি গ্রুপ। এর বাহিরে সড়কে জীবানুনাশক তরল ছিটানো, মশক নিধনে স্প্রেও নিয়মিত করছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
নিয়মিত এসব কাজ করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতেও নগরবাসীর সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বন্ধ রাখা হয়নি। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জানান, নগরকে পরিষ্কার রাখা যেমন তাদের কাজ, তেমনি একটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য একটি সেবাও। তাই করোনার কথা চিন্তা না করে কোন অযুহাত ছাড়াই মন দিয়ে নিয়মিত কাজটি করে যাচ্ছেন।
তবে কিছু মানুষের আচরণে দুঃখও প্রকাশ করেছেন তারা। নগরের বটতলা, পুলিশ লাইন, ব্যপ্টিষ্ট মিশন এলাকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জানান, বিকেল থেকে গভীররাত অব্দি পর্যায়ক্রমে এ শহর পরিষ্কারের কাজ করেন তারা। ফলে সকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি শহরের দেখা পান নগরবাসী। কিন্তু করোনার বর্তমান সময়ে কিছু লোক ইচ্ছে করে তাদের পরিচ্ছন্নতার কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অভিযোগ বটতলা, পুলিশ লাইন এলাকার কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা আমরা ময়লা নেয়ার পরে রাস্তাঘাটের নির্ধারিত স্থানগুলোতে ময়লা ফেলছেন। তাদের অনুরোধ করার পরও এটি করে যাচ্ছেন। ওইসব লোকদের দাবি ময়লার ভেতরে এসে তারা ময়লা ফেলতে পারবে না। কিন্তু এতে আমাদের পরিশ্রমটা বৃথা হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, নগর প্রশাসনও মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রতক্ষ নির্দেশনা কাজ পরিচালিত করে যাচ্ছেন। আবার মহা ক্রান্তিকালেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পিছু হটেননি। কারণ মেয়র তাদের ভালোবাসেন, তারা মেয়রকে ভালোবাসেন। একমাত্র সেরনিয়বাত সাদিক আব্দুল্লাহ যিনি দাবি তোলার আগেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ময়লা-আবর্জা পরিষ্কারের পাশাপাশি নগরের রাস্তাঘাট জীবানুমুক্ত রাখতে প্রতিদিন ৪০ হাজার লিটার তরল স্প্রে করা হচ্ছে। মশক নিধনে ১৮ হাজার লিটার লার্ভাসাইড ছিটানো হচ্ছে প্রতিদিন। পর্যাপ্ত অ্যাডাল্টিসাইডও রয়েছে, যা প্রয়োজন অনুসারে দেয়া হবে। তবে সবকিছুর পরও নগরবাসীকে আরো সচেতন হতে হবে, নিজের বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি যেখানে, সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিসিসি’র প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ও ভ্যাটেনারি সার্জন ডাঃ রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিকতার সাথেই তাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। চালানো হচ্ছে মশক নিধন কার্যক্রমও।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com