বরিশালে রাতভর জ্বলছিল সাইনবোর্ডের বাতি!

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮ টার পর দোকানপাট ,শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা জারী করা হয়েছে।

এর আগে বরিশাল নগরীতে মঙ্গলবার থেকে শহরে মাইকিং করে জানানো হয়েছে রাত ৮টার পর সরকারী আদেশ অমান্যকারীদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

কিন্তু বরিশাল শহরে রাতভর জ্বলছিলো সোনালী বাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও অধিকাংশ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের বিশালাকার সাইনবোর্ডের বাতি। অনেক সাইনবোর্ডের ভিতরে চার থেকে পাঁচ ফুট সাইজের (৪০ ওয়ার্ড) ৫০ টির অধিক নিয়ন বাতি (টিউবলাইট) বসানো রয়েছে। যা রাতভর নগরীতে জ্বলছিলো।

বরিশালের সাংবাদিক মশিউর মন্টু বলেন, রাত ১২ বাজে অফিসের কাজ শেষ করে সদর রোর্ড থেকে বাসায় যাচ্ছি। তখন হঠাৎ চোখে পড়ে সদর রোর্ডে বড় আকারের অধিকাংশ সাইনবোর্ডে জ্বলতেছে রঙ্গিন বাতি।

এছাড়াও রাজাবাহাদুর সড়কের অবস্থিত সরকারী র্কোয়াটার গুলোতে থাকা বাগান সৌন্দর্যবর্ধনের অধিক ঝলমলে রঙিন বাতি চলতে দেখা যায়।

এছাড়াও নগরীর সদর রোর্ড থেকে শুরু করে নাজির মহল্লা পর্যন্ত ঘুরে দেখায়ায় সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের বিশালাকারের লাইটিং সাইনবোর্ড জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। তবে দেখা যায়নি কোনো অভিযান বা মনিটরিং। শুধু মাইকে ঘোষনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীরা।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সন্ধ্যা হয় ৭টায় সরকারের ঘোষনা মানতে আটটার মধ্যেই আমরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু ব্যাংকগুলো সরকারী ঘোষনা কর্ণপাত করেনি।

 

এদেরকে জরিমানার আওতায় আনা উচিত।’ চকবাজার এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী কামাল শরীফ বলেন, ‘করোনাকালীণ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সবসময় বিভিন্নরকম সরকারী বিধি-নিষেধ মানতে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমানে আর্থিক ক্ষতিতে পরেছে।

 

’আজকের ঘটনায় ব্যাংকের কর্তারা প্রমান করেছে তারা সরকারের উর্ধে।’ রাত অধিক হওয়ায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা রাত ৮ টার পর দোকানপাট বন্ধ ও দোকানের অভ্যন্তরে কোন আলোকসজ্জা আছে কিনা বিষয়টি দেখে অভিযান চালাচ্ছি।

পাশাপাশি দোকানপাটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন দুই তিন দিনের মধ্যেই সরকারী বেসরকারী সহ সব প্রতিষ্ঠান গুলোতে রাতে সাইনবোর্ডের লাইট জ্বলছে কিনা দেখে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

তবে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।