বরিশালে রমজান আগেই দামের আগুনে পুড়ছে নিত্যপণ্যের বাজার

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

॥ রমজান শুরুর আগেই বরিশালে সব পণ্যের বাজার চড়া। বেড়েছে মাছ-মাংস, সবজি দাম।পণ্যের ঊর্ধমূখি সূচকে বিপাকে সাধারণ মানুষ।আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল, ছোলা, চিনি, আদা, রসুন। ন্যূনতম চাহিদা মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলছে না তাদের।

বাজারে সবজির আমদানি বেশ ভালো। কিন্তু বিপত্তি পড়তে হচ্ছে কিনতে গেলে।সাধ ও সাধ্যে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজিই। কেজিপ্রতি আলু ২০ টাকা,পোয়াজ ৪০ টাকা ,রসুন ১৬০ টাকা,টমেটো ৩০ টাকা,করলা ৮০ টাকা,বগুন ৪০ টাকা,ফুলকপি ৫০ টাকা,বাঁধাকপি ২০ টাকা,কাঁচামরিচ ১২০ টাকা ও পেপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে সবজি খেয়ে বাঁচাও মুশকিল হয়ে উঠেছে, বলছেন নিম্নবিত্ত মানুষেরা।

অন্যদিকে মাছের বাজারে ইলিশের গায়ে তো হাত দেয়ার সুযোগ কম। অন্য মাছের দামও বাড়তি। ক্রেতারা বলছেন, মাছেভাতে বাঙালীর পাতে এখন প্রতি বেলায় মাছ জোটা ভাগ্যের বিষয়।

আগের বাড়তি দামেই গরুর মাংস সাড়ে ৭শ, আর খাশির মাংস ১১শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আরেক দফা বেড়ে ব্রয়লার ২৫০ টাকা আর সোনালী মুরগি হাঁকা হচ্ছে ৩৪০ টাকা,লেয়ার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, মাংসের চাহিদা মেটাতে যারা ব্রয়লার মুরগির ওপরেই ভরসা করতেন চোখ বন্ধ করে তারাও এখন দিশেহারা।

নেই ডিমের বাজারেও ভালো খবর,দেশি হাসের ডিম ৭০ টাকা হালি,লাল ডিম ৪৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে।

খুশির খবর নেই মুদির বাজারেও।আদা, রসুন, পেঁয়াজ, ডাল, ছোলাও আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।কেজিপ্রতি মুড়ি ১১০ টাকা,সরিষার তেল ২৫০ টাকা,মুসুরির ডাল দেশি ১৩৫ টাকা,মুসুরির ডাল বিদেশি ১০০ টাকা,মুগ ডাল দেশি ১২০ টাকা,বুট ডাল ৯০ টাকা,মটর ডাল ৭০ টাকা,খেঁসারি ডাল ৮০ টাকা,ছোলা বুট ৯০ টাকা,আটা ৬৫ টাকা,ময়দা ৭৫ টাকা,চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রবিবার সকালে নগরীর নতুন বাজারে ক্রেতা নজরুল খলিফা বলেন, ‘আমার মনে হয় যে পণ্যের দাম বাড়বে সেই পণ্য মানুষ যদি না খায়, আশা করি পণ্যগুলোর দাম নাগালে চলে আসবে। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো যে পণ্যের দাম বাড়ে সেই পণ্য বেশি বেশি ক্রয় করে মানুষ। এর জন্য আরও বেশি দাম বেড়ে যায়।’

পোর্ট রোড বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘আসলে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের বেশি দামেই ক্রয় করতে হয়।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশালের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র বলেন, ‘আমাদের বাজার তদারকি অভিযান অব্যহত রয়েছে।আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে অযথা কেউ মূল্য বৃদ্ধি করবে তা হবে না।ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কোন ঘটনা ঘটলে প্রমানসহ লিখিত অভিযোগে অবগত করুন বা ১৬১২১ নম্বরে যোগাযোগ করুন। অভিযোগ প্রমানিত হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। সবকিছুর দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। বাজারে জোরালো মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।