বরিশালে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংস্কারের নামে ১৮ লাখ টাকা লুটপাট

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

নাম মাত্র সংস্কার করে ১৮ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠছে বরিশালের বাকেরগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কো- অর্ডিনেটর মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভবন সংস্কারের জন্য ১৩ লাখ টাকা এবং ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হোটেলের জন্য লেপ, তোশক, বালিশ, বেডসিট ক্রয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা। মোট ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

অভিযোগ উঠে ভবন সংস্কারে ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও নামমাত্র সংস্কার করে বেশিরভাগ টাকা লুটপাট করা হয়েছে।

একইভাবে ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক হোটেলের জন্য লেপ, তোশক, বালিশ, বেডসিট ক্রয়ের জন্য বরাদ্দের ৫ লাখ টাকায় নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করছেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কো- অর্ডিনেটর মো. মিজানুর রহমান।

এ অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিতে রোববার সকালে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি ভবনে নামমাত্র সংস্কার করা হয়েছে।

এ সময় সংস্কার খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বাকেরগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যে সংস্কার করা হয়েছে এতে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

তবে ওই অফিসের এক স্টাফ জানান, ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ করে সম্প্রতি এ কেন্দ্রটি সংস্কার করা হয়েছে। সংস্করের বরাদ্দ কত টাকা আসছে তা জানতে চাইলে তিনি জানেন না বলে জানান।

আবাসিক হোটেলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্রয় কমিটি করে ৫ লাখ টাকার লেপ, তোশক, বালিশ, বেড সিট ক্রয়ের কথা বলা হলেও নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্রয়কৃত মালামালের সর্বোচ্চ মূল্য ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

তাদের ক্রয়কৃত মালামাল সম্পর্কে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ লেপ-তোশক ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, একেবারে নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করেছেন তারা।

এ মালামাল তার কাছে থেকে নিলে ২ লাখ টাকাও লাগবে না। ওই দামে তাদের ক্রয়কৃত মালামালের চেয়ে ভালো কোয়ালিটি দেওয়া সম্ভব বলে তিনি জানান।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর মো. মিজানুর রহমান ডকুমেন্টারি তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের টাকা তুলতে বিভিন্ন দপ্তরে ৪৫ শতাংশ টাকা খরচ করতে হয়। এ ছাড়া ক্রয় কমিটি করে মালামাল ক্রয় করতে তাদেরও খরচ দিতে হয়েছে।

সংস্কারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বলে তিনি প্রতিবেদকের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। তার পরও বরাদ্দের টাকায় সর্বোচ্চ মানের মালামাল ও কাজ করানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় বলেন, সংস্কারে অনিয়ম হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।