বরিশালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১২ টাকার ইনজেকশন ১ হাজার টাকা বিক্রয় করার অপরাধে ২০০০০ হাজার টাকা জরিমানা।

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

আজ ১৮ মার্চ বিকেল ৪ টার দিকে জেলা প্রশাসক বরিশাল এর নিদের্শনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জয়দেব চক্রবর্তী। বরিশাল নগরীর চাঁদমারী এলাকয় মেসার্স তুকি মেডিসিন কর্ণারে অভিযান চালিয়ে ও অভিযোগের ভিত্তিতে জি-ইফিড্রিন ৫ এমএল ইনজেকশন এর মূল্য ১২ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার টাকা রাখা, ড্রাগ লাইসেন্স এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, স্যাম্পল ঔষধ মজুদ ও বিক্রয় করার অপরাধে মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ফার্মেসির মালিক মোঃ মনিবুল ইসলাম (৩৮) কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে রুবেল হাওলাদার নামের একব্যক্তি অভিযোগ দেন। সকালে বরিশাল নগরীর ইসমিয়া হাসপাতালের সামনে তর্কি মেডিসিন কর্নার ফার্মেসিতে ইনজেকশন কিনতে যান। এ সময় জি-ইফিড্রিল নামের ইনজেকশনটি কোথায়ও পাওয়া না যাওয়ায় এই ফার্মেসি থেকে ইনজেকশনটি ১ হাজার টাকা দাম রাখেন দোকানদার রুবেল। জরুরি প্রয়োজন এবং আর কোথায়ও না পাওয়ায় তিনি অতিরিক্ত দামে সেটি কিনে নেন। পরে বিকেলে রুবেল জানতে পারেন ইনজেকশনের দাম মাত্র ১২ টাকা। তিনি ঔষধের দাম বেশি রাখার কারন জানতে চাইলে দোকানদার মনিরুল বলেন, মার্কেটে নেই বলে দাম বেশি। এরপর দুপুরে তিনি জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, বাজারে ওই ইনজেকশনের সংকট ছিল। আর এই সুযোগ নেন অসাধু ব্যবসায়ী। এতে ভোক্তা প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই ফার্মেসির মালিককে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয়ের অপরাধে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় এবং ড্রাগ লাইসেন্স এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, স্যাম্পল ঔষধ মজুদ ও বিক্রয় করার অপরাধে। ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮ (ক) ধারা লঙ্ঘন এর জন্য ২৭ ধারায়। বিশ (২০০০০) হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ অপরাধে প্রসিকিউশন প্রদান করেন ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বরিশাল, এস, এম, সুলতানুল আরেফিন। অভিযানে সহযোগিতা করেন বরিশাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ এর সদস্যরা। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী।