বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা

:
: ৪ years ago

বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১০ এপ্রিল শুক্রবার সকাল থেকে বরিশাল মহানগরীর চৌমাথা, নতুল্লাবাদ, আমতলার মোড়, সাগরদী, রুপাতলী, নতুল্লাবাদ, সদর রোড, বাংলা বাজার, চকবাজার, বটতলা বাজার এলাকায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট এর অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম এবং চায়ের দোকানসহ অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ জিয়াউর রহমান এবং শরীফ মোঃ হেলাল উদ্দীন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা, মাক্স পরার নির্দেশনা প্রদান করা হয়

পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযান পরিচালনা এসময় নগরীর বাংলা বাজার, রুপাতলী এবং বটতলা বাজার এলাকায় অভিযান চলাকালে জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে ছয়টি দোকানকে ১৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়। নগরীর বাংলা বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনাকালে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক আলম স্টোর এর মালিক নুর আলম কে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই স্থানে চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে একই আইনে মোঃ জাকির হোসেন কে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজারে মাক্স না পরে ঘরের বাইরে বিনা প্রয়োজনে ঘুরাঘুরি করার অপরাধে একই আইনে গৌতম সাহা কে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে একই আইনে জুবায়ের ইলেকট্রনিক এর মনিরুল ইসলাম কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বটতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি কাপড়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে একই আইনে রেদওয়ান ফ্যাশন এর মালিক আয়শা শিদ্দিকা কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামাজে জন-সমাগম না করার জন্য এবং স্ব-স্ব বাড়িতে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় ও মসজিদের মাইকে তা ঘোষণা দেওয়ার জন্য বলা হয়। অভিযানে প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে সহযোগিতা করেন কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মোঃ শাহজালাল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সহযোগিতা করেন বরিশাল জেলা পুলিশের একটি টিম।

অপরদিকে বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল শরীফ মোঃ হেলাল উদ্দীন। অভিযানকালে তিনি নগরীর বেশকিছু মসজিদে গিয়ে সরকারি নিয়ম মেনে গণজমায়েত না করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে জামাত পরার পাশাপাশি নিজ নিজ গৃহে অবস্থাব করে নামাজ পরার আহবান জানান। সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তিনি নগরীর চকবাজার সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা কালে জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে চকবাজার এলাকায় একটি কোকারিজের দোকানে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক মোঃ মানিক কে ২ হাজার টাকা এবং অপর একটি প্লাস্টিক ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রয়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধের একই আইনে ২ হাজার টাকা জরিমানা মোট ৪ হাজার টাকা করা হয়। এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সদস্যরা। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।