বরিশালে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

নদী বন্দরের টার্মিনালে নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের অপেক্ষায় থাকবেন মেয়র। টার্মিনালের গেটে অপেক্ষা করবে সিটি কর্পোরেশনের বাস। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিবে নাগরিকদের। এজন্য কোনো ভাড়া দিতে হবে না ওই বাসের যাত্রীদের।

বিশেষ এই সুবিধা ভোগ করবেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকরা। সেই সাথে বরিশাল বন্দর হয়ে যারা দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রুটে যাতায়াত করে থাকেন তারাও পাবেন এই সুবিধা। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এমনই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবারে ঈদে।

ঢাকা থেকে ঈদের বাড়ি ফিরতে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ যাত্রীরাই বেছে নেন নৌপথ। লাখ লাখ মানুষ ঈদে ঢাকা-বরিশাল লঞ্চে করে বাড়ি ফেরেন। সাধারনত লঞ্চ ভোর রাতে ঘাটে এসে পৌঁছালেও ঈদের স্পেশাল সার্ভিসে লঞ্চগুলো পৌঁছায় মধ্য রাতে। তখন অনেক যাত্রীরাই যানবাহন সংকটে ভোগেন। আর এই সংকট লাঘবে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

ঘরে ফেরা যাত্রীদের জন্য নগরীর অভ্যন্তরীণ প্রধান দুটি রুটে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ‘ফ্রি বাস সার্ভিস’ সেবার ঘোষণা দিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে এই বিশেষ সেবা চালু করা হয়েছে।

বরিশাল হয়ে অনেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচল করেন। সাধারনত তার ঢাকা বরিশাল লঞ্চের মাধ্যমে বরিশাল পৌঁছে তারপর অনান্য অঞ্চলে যাতায়াত করেন বাসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এবং লঞ্চঘাট টু রুপাতলী এই দুই রুটে চলবে এই ফ্রি বাস সার্ভিস। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে এবং এর পাশাপাশি যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া আদায়ের চেষ্টাও অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করছেন নগরবাসী।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাই কোরবানির ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিরাপদে এবং কোন দুর্ভোগ ছাড়াই যেন যাত্রা করতে পারে, আবার একই ভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে পারে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈদ উপলক্ষে নগরীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অভ্যন্তরীণ যানবাহন ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে বৈঠক করেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে। এই বৈঠক থেকেই ঈদ উপলক্ষে এই ‘ফ্রি বাস সার্ভিস’ চালু করার ঘোষণা দেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু বলেন, ‘মেয়র শুধু নগরবাসীই নয় তিনি দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের কথাও মাথা রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই সাথে ঈদে নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষকে অভ্যর্থনা জানাতে মধ্যরাতে মেয়র প্রতিদিনই নিজে লঞ্চঘাটে উপস্থিত থাকবেন। ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের যাতে কোন ধরনের কষ্ট না হয় এজন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সার্বিক সেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তিনি নিজেই মনিটরিং করবেন। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের কথা মাথায় রেখে। একই সাথে হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিস্টদের তৎপর থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আর এই সার্বিক বিষয়গুলো মেয়র নিজেই পর্যবেক্ষন করবেন।’