বরিশালে মেয়রের নির্দেশে ৬ ঘন্টার ম‌ধ্যে কোরবা‌নির বর্জ্য অপসার‌ন

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র নির্দেশে ৮ ঘন্টা নয় ৬ ঘন্টার ম‌ধ্যে ব‌রিশাল নগ‌রের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বি‌সি‌সি কর্তৃপক্ষ।

পাশাপা‌শি বর্তমা‌নে নগর থে‌কে গৃহস্থ‌লির নিয়‌মি‌তো বর্জ্য নেয়ার কাজও শুরু ক‌রেছে প‌রিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে ব‌রিশাল সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের জনসং‌যোগ কর্মকর্তা বেলা‌য়েত হাসান বাবলু জানান, মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহর নি‌র্দেশনা অনুযায়ী বেলা ২ টা থে‌কে বরিশাল নগরের ওয়ার্ডগু‌লো থে‌কে প‌রিচ্ছন্নতা কর্মীরা কোরবা‌নির বর্জ্য ‌নি‌তে শুরু ক‌রে।

রাত ৮ টা নাগাদ কোরবা‌নির বর্জ্য নেয়ার কাজ সম্পূন্ন করা হয়েছে। ত‌বে এখ‌নও ময়লা নেয়ার কাজ কর‌ছে প‌রিচ্ছন্নতা কর্মীরা, যা গৃহস্থ‌লির নিত্য‌দি‌নের ময়লা-আবর্জনা। এগু‌লো অপসার‌নে প্রতিদিন রাত ১০ টার দি‌কে কাজ শুরু করা হলেও আজ পবিত্র ঈদের দিন সোমবার ২ ঘন্টা আ‌গে কাজ শুরু হ‌য়ে‌ছে।

বি‌সি‌সির প‌রিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ডাঃ র‌বিউল ইসলাম বলেন, মেয়‌রের নি‌র্দে‌শে আমরা যতো দ্রুত সম্ভব কোরবানির বর্জ্য নগর থেকে অপসারণ করে‌ছি। নগরের ৩০ টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ১৪২ টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছি‌লো। তিনি বলেন, আমাদের ৩ শত পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পাশাপাশি একাজে কোরবানির সময়ের জন্য আরো ৬ শত কর্মী যুক্ত করা হয়।

সেই সাথে দ্রুত বজ্র্য আপসারনের লক্ষে ব্যবহার করা হয়েছে ৩৬টি যান-বাহন। যা‌দিয়ে একযো‌গে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ কা‌রা‌নো হয় নগ‌রে।

উল্লেখ্য রোববার (১১ আগস্ট) সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ নগরী থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে বজ্র্য অপসানের ঘোষনা দিয়েছিলেন । বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে সদ্য চালু হওয়া স্বতন্ত্র ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীদের খোঁজ-খবর নেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেছিলেন।

বিসিসি মেয়র সাদিক বলেন, এসময় তিনি আরো বলেন আমরা বরিশাল শহরকে অন্য সব শহরের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি পরিচ্ছন্ন রাখছি। ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তারের পর আমরা গোটা শহরে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাসপাতাল প্রশাসন সহ সবাই সমন্বিতভাবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছি। যে কাজে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আমি নগর সেবকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখার উদ্যোগসহ পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া নগরের সমস্ত ড্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে পরিষ্কার করেছি। যাতে পানি জমে মশার বংশবিস্তার না হয়। আমাদের শহরে এখন মশার উপদ্রব নেই বললেই চলে।

তারপরও তিনি যার যার নিজস্ব স্থা বাসা-বাড়ি পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য নগরবাশীর প্রতি আহবান জনান।