বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ৪ মে সোমবার সকাল থেকে বরিশাল মহানগরীতে ১ টি মোবাইল কোর্ট টিম মাঠে অভিযান পরিচালনা করেন এসময় চৌমাথা মোড়, নথুল্লাবাদ, বাংলা বাজার, আমতলার মোড়, কাঠপট্টি বেটতলা বাজার, তাল তলি বাজার এলাকায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ বাজার মনিটরিং, জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মেয়াদ উত্তির্ন ঔষধ এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রয় করার অপরাধ পতিহত করার লক্ষ্যে বরিশাল জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ৬ টি প্রতিষ্ঠান কে মোট ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ জিয়াউর রহমান। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং করা হয় এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এসময় সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে জরুরি ঔষধ ব্যতীত সকল প্রকার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এসময় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। অভিযান পরিচালনাকালে নগরীর কাঠপট্টি এলাকায় জাকির মেডিকেল হল ও জিৎ মেডিকেল হল নামক দুইটি ফার্মেসিকে বিপুল পরিমানণে Physician’s Sample ঔষধ বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার অভিযোগে ড্রাগ এক্ট ১৯৪০ এর ২৭ ধারায় ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি, জিৎ মেডিকেল নামক আরো একটি ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দোকানে রাখার অপরাধে একই আইনে আরো ৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় বিপুল পরিমাণে Physician’s Sample ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করা হয়। পাশাপাশি নগরীর তালতলী ও বেলতলা এলাকায় এলাকার ৩টি দোকানকে নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে একই পণ্য বিভিন্ন দামে বিক্রি করায় অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় ৩ হাজাট টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঔষধ প্রশাসন বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা ও বরিশাল সদর উপজেলার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ জাকির হোসেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সহযোগিতা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, জনস্বার্থে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।