বরিশালে মুজিববর্ষে ব্যতিক্রমধর্মী তোরন

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

শামীম আহমেদ, ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী “মুজিববর্ষ” উদ্যাপন উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের সামনে নির্মিত ব্যতিক্রমধর্মী তোরন সবার দৃষ্টি কেড়েছে।

নিজ পরিকল্পনা ও অর্থায়নে নির্মিত এ তোরনটি দিনের আলোয় দেখতে যেমন রাতের আলোকসজ্জায় তা ভিন্ন রূপে ফুঁটে উঠছে। দৃষ্টিনন্দন এ তোরনটি নির্মান করে ইতোমধ্যে আবারও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও জেলার দুইবারের শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের ডিজিটাল চেয়ারম্যানখ্যাত সৈকত গুহ পিকলু।

 

গত ৪ মার্চ ওই ইউনিয়ন পরিষদ ও কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে এসে মুজিববর্ষের ব্যতিক্রমধর্মী তোরন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আমেরিকার নাগরিক ও ইউএসআইডি’র প্রতিনিধি এরিয়েলা ক্যামেরা, তার সফর সঙ্গী ডাঃ ফারহানা আক্তার, সেভ দ্যা চিলড্রেনের আইসিএইচডব্লিউ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এখলাস উদ্দিনসহ অন্যান্যরা। তারা ব্যতিক্রমধর্মী তোরন নির্মানের উদ্যোক্তা ইউপি চেয়ারম্যানের ভূয়শী প্রশংসা করে তোরনের অসংখ্য ছবি তাদের ক্যামেরায় বন্দি করে নিয়েছেন।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, মুজিববর্ষকে সামনে রেখে পুরো মাহিলাড়া ইউনিয়নকে নতুন রূপে সাজানোর কাজ চলমান রয়েছে।

 

পুরো ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণস্থানে জাতির পিতার দুর্লভ ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ঢেকে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ জানুয়ারি থেকে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগেও বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন স্মরণীয় করে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

 

ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মণীষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যেকোন জাতীয় ও দলীয় কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুর ব্যতিক্রমধর্মী সব আয়োজন থাকে।

 

এজন্য প্রতিবারই তিনি হচ্ছেন একজন প্রশংসিত চেয়ারম্যান। অতিসম্প্রতি তার ইউনিয়নের প্রতিটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বই বিতরণ করে পুরো জেলাজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন। এছাড়া তার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জেলাজুড়ে আলোচিত। এবার মুজিববর্ষ উদ্যাপনে তার ব্যতিক্রমধর্মী তোরন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন আনন্দধারায় এক অন্যরকম মাত্রা যোগ হয়েছে।