বরিশালে মাহে রমজান উপলক্ষে মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আজ ৮ মে সকাল ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল এর নির্দেশনায় বরিশাল নগরীর বটতলা বাজার এবং পোর্ট রোড এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুণগত মান ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী এবং রুম্পা ঘোষ।

নগরীর বটতলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী এবং পোর্ট রোড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষ। পবিত্র মাহে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং পণ্যের গুনগত মান বজায় রাখতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। বটতলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর, কোমল পানীয় এবং বিভিন্ন খাবার সামগ্রী পাওয়া যায়।

এসময় কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় কৃত অপরাধে বটতলা বাজারে আলামিন ষ্টোর এর মালিক মোঃ জুয়েল কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, আলম স্টোর এর মালিক মোঃ মাসুম বিল্লাহ কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, নিউআলাম ষ্টোর এর মালিক নজরুল ইসলাম কে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অপরদিকে পোর্ট রোড এলাকার একটি গোস্তের দোকানে নোংরা পরিবেশে গোস্ত বিক্রয় করার অপরাধে গোস্ত বিক্রেতা আলমগীর কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রসিকিউশন প্রদান করেন স্যানিটেরি ইন্সপেক্টর, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, সৈয়দ এনামুল হক।

অভিযানে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৪২,০০০/- (বিয়াল্লিশ হাজার) টাকা অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ এবং র‌্যাব ৮ এর সদস্যরা। এসময় তারা বাজার ব্যবস্থা রমজানে মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণা হতে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি লাঘবে, নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার সামগ্রী মূল্য তালিকা, অতিরিক্ত মূল্য আদায়, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযান চালিয়ে সঠিক মূল্য তালিকা রাখা, খাবারের গুনগত মান বজায় রাখার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ, খাবারের নিম্নমান, পোড়া তেলের ব্যবহার, ফ্রিজে সংরক্ষিত অনেক দিনের পুরনো মাছ মাংস, খাদ্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে তদারকি করেন এবং ব্যবসাহী এবং ক্রেতাদের এ বিষয়ে সচেতন করে। এই অভিযান জনস্বার্থে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দরা।