সোহেল আহমেদ: ব্যাপক প্রচার অভিযান ও প্রশাসনের কঠোর নজড়দাড়ি অব্যহত থাকলেও বরিশালে কোচিং সেন্টারগুলো মানছেনা সরকারের নির্দেশনা। নানা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে কচিং কার্যক্রম। শহড়ের বেশির ভাগ কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকলেও নামকরা সেন্টারগুলোতে প্রশাসনের সাথে লুকচুরির প্রতিযোগিতায় মেতেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপরে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ মেজিট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী আকস্মিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নগরীর ৫টি কোচিং সেন্টার কতৃপক্ষেরর বিরুদ্ধে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মেজিট্রেট মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন,পাবলিক পরীক্ষা নির্ভিগ্নে এবং প্রশ্ন ফাঁসরোধে আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারের যে কোনো নির্দেশনা বাস্তবায়নে বদ্দপরিকর। নগরীর যে কোনো স্থানে কচিং বানিজ্যেরর সংবাদ পেলেই ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নগরীর গোড়াচাঁদ রোড, বিএম কলেজ রোড, বৈদ্য পাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বেশিরভাগ কোচিং সেন্টারকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেলেও ৫ টি কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চালু পায় ভ্রাম্যমান আদালত। কয়েকটি কোচিং সেন্টার বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রেখে ভিতরে পাঠদান কার্যক্রম চালালেও ভ্রাম্যমান আদালত কৌশলে ধরে ফেলেন।
গোড়াচাঁদ দাস রোড এলাকায় ইডেন গার্লস একাডেমীর মোঃ তানজিল খান, বিএম কলেজ রোড এলাকার সাইফুরস কোচিং এর হারুন অর রশিদ, বৈদ্যপাড়া এলাকার নলেজ একাডেমীর মাহফুজুর রহমান, অনির্বান কোচিং এর অঞ্জন বনিক, বিসিএস একাডেমীর মোঃ মিন্টু এর প্রত্যেককে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কয়েকটি কোচিং সেন্টার এর অফিস খোলা অবস্থায় দেখলে ভ্রাম্যমান আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট বন্ধ করে দেন।