আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফেতর সহ পরবর্তী ৭দিনের জন্য জনসাধারনের জান-মাল রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪থানা ও গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) সহ ৩ ধাপে ১হাজার ৩৮ জন পুলিশ সদস্য ২১টি মোবাইল কোর্ট এবং ৬টি চেক পোস্টে ২৪ ঘন্টা সর্বক্ষনিক ৬১টি আইন শৃঙ্খলা টিম মাঠে কাজ করবে।
এছাড়া রাস্তা-ঘাট সহ বাস স্টেশন,লঞ্চ ঘাট সহ নগরীর গুরুত্ব সড়কগুলোতে ট্রাফিক পুলশ সদস্য যথাযথ দায়ীত্ব পালন করারও নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এসময় বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএিফআই) বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক কর্নেল শরিফুজ্জামান বলেন কনো অঞ্চলের সাথে প্রতিযোগীতা নয় বর্তমানে মাদকের যে অভিযান চলছে তার মাত্রা আরো বৃদ্বি করা প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন মাদক মুক্ত ও নির্মূল করার ক্ষেত্রে পুলিশ অস্ত্র ব্যাবহারে কোনো দ্বিদ্বাবোধ করবেনা।
এছাড়া নগরীতে বাহিরের রেজিস্টেশন করা মাহেন্দ্রা গাড়ি শহরের চলতে না পারে সেজন্য তিনি ডিসি ট্রাফিক উত্তম কুমার পালকে নজর দিতে বলেন।
সেই সাথে লক্কড়-ঝক্কর বডি ফিটনেস বিহীন গাড়ি ব্যাবহার করে যাত্রী পরিবহন না করার জন্য বাস মালিক কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আজ রবিবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১পটা পর্যন্ত ২ঘন্টাব্যাপি নগরীর আমতলামোড়স্থ মেট্রোপলিটন অস্থায়ী পুলিশ কমিশনার কার্যলয়ের কনফারেন্স কক্ষে আসন্ন ঈদ-উল-ফেতর উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আইন শৃঙ্খলা বিশেষ সভায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতাল পরিচালক,লঞ্চ মালিক সমিতি সদস্য , কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতি ও রুপাতলী বাস মালিক সমিতি সদস্য ,বিসিসি,ফায়ার সার্ভিসইবভিন্ন গনমাধ্যম কর্মী,আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সহ বিশেষ গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তাদের তাদের সুচিন্তা মতামত ব্যাক্ত করেন।
সভায় ঈদকে পুজি করে বাস বা লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা সহ অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার জন্য পুলিশ কমিশনার বাস ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান।
অপরদিকে ঈদের পূর্বে লঞ্চ ও বাসের টিকিট নিয়ে যারা কালো বাজারে বিক্রির সাথে সম্পূক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কমিশনার তার অধিনস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ করার আদেশ প্রদান করেন।
এছাড়া নগরীর বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলো এলাকায় বিদ্যুৎ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সাদা পোষাকধারী সদস্যরা মাঠে থাকবে থাকার কথাও তিনি বলে।
সে সাথে হাইওয়ে পুলিশও মহাসড়কগুলো প্রস্তুত রাখা থাকবে। পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষন করে উপস্থিত বাস মালিক সমিতির সদস্যরা তাদের স্টান্ডের সামনে ভাংঙ্গা চুড়া সহ যেসকল স্থানে খানা খন্দ হয়ে রয়েছে সেখানে তাৎক্ষনিকভাবে কাজ করার জন্য বিসিসি প্রতিনিধির মাধ্যমে মেয়রকে অবহিত করে ঈদের পূর্বে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঈদুল ফেতরকে কেন্দ্র করে নাড়ীর টানে রাজধানী ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী সাধারন কোনোভাবে মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হা হয় সেজন্য ঘাটে লঞ্চে প্রচার-প্রচারনা করার সাথে নৌ পুলিশকে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন (সদর) উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুল আমিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) হাবিবুর রহমান খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ গোলাম রউফ খান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ট্রাফিক উত্তম কুমার পাল,ডিসি (ডিবি) উপ-পুলিশ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া,বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন, সহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্ধ।