বরিশালে মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় নির্মান শ্রমিক আহত ও ঘরের মালামাল ভাংচুর

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago
????????????????????????????????????

বরিশাল নগরীর নতুন বাজারস্থ আদি শশ্বান বস্তিতে ঘড়ের পাশে ইয়াবা ও গাঁজা লুকিয়ে রাখার কাজে বাধা প্রদান করায় পুলিশের খাতায় চিহ্নিত এলাকার কালা বাহিনীর প্রধান ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী ল্যাংড়া কাদেরের ছেলে ইব্রাহিম ও তার ফুফাতো ভাই জসিমের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে সহকারী নির্মান শ্রমিক রাজ্জাক সহ পরিবার।

 

 

এসময় মাদক ব্যবসায়ী দুই ভাই ও তার সহযোগী ব্যবসায়ীরা ঘড়ে প্রবেশ করে মালামাল ভাংচুর করা সহ তছনচ করে এবং একথা সাংবাদিক ও পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হলে একেবারে জীবনে শেষ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

 

 

এদের বিরুদ্ধে নতুন বাজার বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ি সহ থানায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকা সত্বেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর রয়েছে চরম ক্ষোভ।

 

 

কোতয়ালী মডেল থানায় সহকারী নির্মান শ্রমিক রাজ্জাকের বোন সুমি বেগমের দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে নতুন বাজারস্থ আদি শশ্বানের বস্তির ভিতরে কালা বাহিনী প্রধান ইব্রাহিম ও জসিম নির্মান শ্রমিক রাজ্জাকের ঘড়ের বাহিরে মাটি খুড়ে রাখার চেষ্টা করে এঘটনা রাজ্জাক দেখে বাধা প্রদান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ্জাককে বেধম মারধর করে।

 

 

পরে এক প্রর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে ঘড়ের ভিতর প্রবেশ করে ঘড়ের মালামাল ভাংচুরের তান্ড চালায়। এবং চলে যাবার সময় এঘটনা কাইকে জানালে জীবনে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

 

 

আহত নির্মান শ্রমিক রাজ্জাক জানায় বেশকিছুদিন যাবত ইব্রাহিম ও জসিম সহ তারদলবলের সদস্যরা নির্মান শ্রমিকের কাজ বাদ দিয়ে তাদের সাথে কাজ ও মাদক ব্যবসায় থাকার প্রস্তাব দিয়ে আসছে।

 

 

তাদের কথা না শোনার কারনেই হয়ত আজ আমার ঘড়ের কোনায় ইয়াবা ও গাজা লুকিয়ে রাখার কাজে বাধা প্রদান করার জেড় হিসাবে এই হামলা চালানো হয়।

 

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে নতুনবাজার এলাকার কালা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিরাতে উক্ত এলাকায় দিনে-রাতে প্রকাশ্য দিবালোকে মাদক ব্যবসা চালানোর পাশাপাশি রাতের বেলায় তারা বিভিন্ন যাত্রীদের যারবাহন ঠেকিয়ে ছিনতাই করে যাচ্ছে এদের ভয়ে এলাকায় কেহ মুখ খুলতে সাহস পায়না বলে স্থানীয় বিভিন্ন বস্তিবাসীরা অভিযোগ করেন।

 

 

রাজ্জাকের ঘড়ে হামলা ও তাকে মারধর করে আহত করার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে থানা প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এএসআই ফরিদকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে বলে থানা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।