বরিশালে মাদক ব্যবসায়ীর হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসী পরিবার

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও তার সহোদর ভাই এর হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রবাসী পরিবার,পরিবার ও নিজের জীবনে নিরাপত্তা চেয়ে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ও উজিরপুর মডেল থানার দারস্ত হয়েছেন জয়শ্রী – শিকারপুর নিবাসী মৃত্যু আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে, প্রবাসী মোহাম্মদ রিপন বেপারী।

অভিযোগ ও হুমকি শিকার প্রবাসী পরিবার সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন প্রবাস (কুয়েত)থেকে দেশে আসার পরে,দূর সম্পর্কের আত্মীয় জয়শ্রী গ্রামের আব্দুল রহমান হাং এর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান হাং(৪২) ও মোঃ জেলেনুর হাং (৩৮)মিথ্যা প্রবঞ্চনায় দিয়ে বিদেশ (সৌদি আরব) ভিসা দেওয়ার কথা বলে উল্লিখিত অভিযুক্তরা সুকৌশলে (৩)তিন বারে মোট (৪,০০০০০০) চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়,পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রিপন বেপারী অভিযুক্তদের কাছে ভিসা চাহিলে তাহারা বিভিন্ন তালবাহানা করিয়া সময় ক্ষেপণ করতে থাকে,এক পর্যায় টাকা ফেরত চাহিলে অভিযুক্ত গন,

প্রবাসী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন রকম খুন জখম সহ মাদক দিয়ে ( ফাসিয়ে (ডিবি পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়,জয়শ্রী গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান,অভিযুক্ত জেলেনুর এক জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, এলাকায় তার একটি কিশোর গ্যাং রয়েছে,তাদের মাধ্যমে সুকৌশলে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে,এলাকাবাসী আরো জানান,কয়েক বছর আগে বরিশাল ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে ধরার জন্য রেড দিলে,

ডিবি পুলিশের সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে জেলেনুর পালিয়ে যায়,পরবর্তীতে পুলিশের হাতে আটক হয়ে কিছুদিন জেলা থাকার পরে ছারা পেয়ে আবারও পূর্বের ন্যায় মাদক ব্যবসা শুরু করে,তার সহোদর ভাই মিজানুর এর বিরুদ্ধে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই সহ অসংখ্য অভিযোগের কথা বলেন এলাকাবাসী,সর্বশেষ ছিনতাই কালে বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় বেশ কিছুদিন জেল খাটেন,পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী মুন্ডপাশা গ্রামে এক সংখ্যালঘুর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা কালে গ্রামবাসীর কাছে আটক হয়ে গণধোলাই শিকার হন মিজানুর,

উল্লিখিত অভিযোগের বিষয় অভিযুক্তদের কাছে জানার জন্য একাধিকবার তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।এ বিষয়ে মডেল থানার ওসি (তদন্ত)মো:তৌহিদুল ইসলাম জানান,তদন্ত সাপেক্ষে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রবাসী পরিবার।