বরিশালে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে এলাকাবাসী

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন বাবুগঞ্জ উপজেলার ধুমচর গ্রাম ও কাউনিয়া থানার আমিরগঞ্জ বাজারে চলছে চুরি-ছিনতাই, মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও জুয়ার রমরমা আসর। একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠি দীর্ঘদিন যাবত চুরি, জুয়া ও মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সচেতন মহল।

 

এবিষয় প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ধারনা করা হচ্ছে দুই থানার দুরত্ব থাকায় পুলিশি টহল কম থাকায় ওই এলাকায় চুরি, জুয়া ও মাদক ক্রয়-বিক্রয় চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। ফলে সেখানকার যুব সমাজ ধংসের মুখে পরছে বলে জানা গেছে । এমত অবস্থায় পুলিশি টহল বারিয়ে দিলে হয়ত চুরি, জুয়া ও মাদক ক্রয়-বিক্রয় অনেকটা কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

গতকাল সকাল নয়টার সময় সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বরিশালের ধুমচর-আমিরগঞ্জে এলাকায় চাঁচ নাগরিক নিরাপত্তা সংঘের পক্ষ থেকে একটি গন র‌্যালি করা হয়। এসব র‌্যালি করে কতটা চুরি, জুয়া ও মাদক ক্রয়-বিক্রয় নিয়ন্ত্রন করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকা বাসীর মাঝে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কয়েক প্রভাবশালীরা চোরের পক্ষ, মাদক,জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে। যতদুর জানা গেছে , আমিরগঞ্জ বাজারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে রমরমা জুয়ার আসর। প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, জুয়াড়িরা প্রতিদিন ধুমচর গ্রাম ও ধুমচর বাহির থেকে মোটর সাইকেল ও সিএনজি যোগে আমিরগঞ্জ বাজার মাদক জুয়ার আসরে পৌঁছায়।

 

 

এ ছাড়াও চলছে ডিজিটাল জুয়া ( অনলাইনে জুয়া) এলাকায় বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা। ওই চক্র জুয়ার আসর বসিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ধুমচর-আমিরগঞ্জে পৌছার আগেই কোন অপরিচিত বা প্রশাসনের লোক মনে হলেই মহলটি লোক জুয়ার আসর পরিচালককে সর্তক করে দেয়। প্রশাসন নিরব থাকায় প্রভাবশালীরা রয়েছে অধরা। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সচেতন মহল।

 

 

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক সুত্র জানায়, কেউ কেউ বউয়ের গহনা, মটরসাইকেল ও দামী আসবাবপত্র বন্ধক রেখেও জুয়া খেলে সর্বশান্ত হচ্ছে। আমিরগঞ্জ বাজারের এক দোকানি বলেন, এই জুয়ার আসর বন্ধ না হলে অনেক পরিবারই সর্বশান্ত হয়ে যাবে এবং নামকরা একটি চোরের বংশধর আছেব তাদের কে মাদক ও জুয়া আসর বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। এবিষয় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, চুরি-ছিনতাই জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।