দাম্পত্য কলহের জেরধরে স্ত্রীকে সংশোধন হতে ও ভয় দেখানোর জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের আইনী নোটিশ পাঠিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন সদ্য সরকারী চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করা নুরুল হক হাওলাদার (৬০) নামের এক বৃদ্ধ।
গত একমাস ধরে তাকে (নুরুল) ইয়াবায় আসক্ত আখ্যা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানরা বন্দি করে রেখেছেন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে। ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জের।
নগরীর মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র ড্রীম লাইফে বন্দি বাবুগঞ্জের বাসিন্দা ও সদ্য ডাক বিভাগ থেকে অবসরগ্রহণ করা নুরুল হক হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, তার স্ত্রী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের কারিগরি প্রশিক্ষক। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন কখনও সুখের ছিলনা।
তিনি আরও জানান, ২০২১ সালের জুলাই মাসে ডাক বিভাগ থেকে অবসরগ্রহণ করার পর তাদের দাম্পত্য কলহ আরও বেড়ে যায়।
ফলশ্রুতিতে দাম্পত্য কলহ থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীকে সংশোধন হতে ও ভয় দেখানোর জন্য গত জানুয়ারি মাসে স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনী নোটিশ পাঠানো হয়। এটাই তার (নুরুল) জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিমান ও কস্টে গত একমাস ধরে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে বন্দি থাকা তিন সন্তানের জনক নুরুল হকের অভিযোগ, স্ত্রীর ষড়যন্ত্রে ওলটপালট হয়ে গেছে আমার জীবন।
যেখানে কোনদিন মাদক গ্রহণ করিনি, সেখানে স্ত্রীর ষড়যন্ত্রে সন্তানরা আমাকে ইয়াবায় আসক্তের অপবাদ দিয়ে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে বন্দি করে রেখেছে। গত একমাস ধরে আমি বন্দি জীবন কাটাচ্ছি।
এতোকিছুর পরেও পরিবারের সদস্যদের প্রতি কোন ক্ষোভ নেই বৃদ্ধ নুরুল হকের। জীবনের শেষসময়ে পরিবারের সকলের সাথে তিনি মিলেমিশে থাকতে চান।
অভিযোগের ব্যাপারে নুরুল হকের স্ত্রী কোন কথা বলতে রাজি না হলেও তার ছেলে শোভন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের মধ্যে মনোমালিন্য ছিলো।
যেকারণে গত জানুয়ারি মাসে বাবা মাকে ডির্ভোস পাঠানোর পর মা বাড়ি থেকে চলে যেতে চেয়েছিলো। তখন আমি মাকে আটকিয়ে রেখেছি। অন্যকোন প্রসঙ্গে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
বরিশাল মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র ড্রীম লাইফের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হাসান বাপ্পী বলেন, শারিরিক পরীক্ষার পর নুুরুল হকের শরীরে মাদকের কোন অস্বীত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোন কর্নপাত করছেন না।