বরিশালে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরিশালে দিনে-রাতে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। বরিশাল সিটি করপোরেশন মশার ওষুধ দিলেও কাজে আসছে না।

শুধু ওষুধ দিলেই হবে না, নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন নগর কর্তৃপক্ষ। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বরিশালে বেড়েছে মশার উপদ্রব। নগরীর প্রায় সব এলাকার বাসিন্দারা মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ।

সিটি করপোরেশন নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে মশার ওষুধ দিলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না বলে অভিযোগ করেছেন নগরবাসী।

এছাড়াও বিসিসির এ কাজে জনবল থাকলেও ওষুধ, ফগার ও স্প্রে মেশিনের চরম সংকট রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

নগরীর ২২নং ওয়ার্ড জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন জানান, সিটি করপোরেশন থেকে মাঝে মধ্যে মশার ওষুধ ছিটানো হয়, কিন্তু তাতেও মশা মরে না।দিনের বেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানে কয়েল জ্বালিয়েও মশার দংশন থেকে পরিত্রাণ মিলছে না।

দিনের বেলায় ঘরে মশারি টানিয়ে রাখতে হয়। মশার উৎপাত এত বেশি যে, দরজা-জানালা খুলে রাখার উপায় নেই নগরীর কাশিপুর,নথুল্লাবাদ,কিয়া সড়ক,বৈদ্যো পাড়া এলাকার বাসিন্দারা একই কথা বলেছেন।

তারা বলেন, দিন কিংবা রাত কখনই মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। অ্যারোসল, ইলেকট্রিক ব্যাট, কয়েলে কাজ হচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো মশা যায় না।

কয়েল ও ওষুধ স্প্রে করেও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বিক্রীত কয়েল ও স্প্রে ওষুধগুলো মানুষের শারীরিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অথচ বিভিন্ন দোকানে এসব ওষুধ ও কয়েল চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।বিসিসির মশার ওষুধের কার্যকরিতা যাচাইয়ের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। মশার কয়েল ও স্প্রে ওষুধ ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, মশার কয়েলের ধোয়া নবজাতক ও শিশুদের শ্বাসতন্ত্রে ক্ষতি করে।

এর ফলে শিশুদের ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই মশার কয়েল শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত।

এব্যাপারে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, এখন মৌসুম পরিবর্তন হচ্ছে বলে একটু মশা বাড়ছে।

তবে মশা নিধনের জন্য লারবি সাইড, এডালটি সাইড আর লাইট ডিজেল অয়েল বা কালো তেল দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, নগরবাসী যদি নিজেরা সচেতন হন এবং বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকে তাহলে মশার উপদ্রব অনেকটা কমে আসবে।

তারা বলেন, ওষুধ দিলেই যে মশা যাবে তাতো নয়। জনগণকে সচেতন হতে হবে। মশক নিধনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে চলতি অর্থ বছরে ৩৭ লাখ টাকার ওষুধ ব্যয় করা হচ্ছে।