জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন বরিশালের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযানের অংশ হিসবে আজ ৫ মে বুধবার বরিশাল জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার এর নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, লকডাউন কার্যকর করা এবং বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসবে ৩ টি মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর নিশাত তামান্না, জেলা প্রশাসন বরিশালের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন ও নিশাত ফারাবী।
আজ দুপুর ১২ টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ও শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর নিশাত তামান্না।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তলন কালে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় অবৈধ ড্রেজারের মালিক মোঃ নয়ন কে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়। এবং অবৈধ ড্রেজারটি আগুনে পুড়িয়ে ধংস করা হয়। অভিযানে আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন কাউনিয়া থানা পুলিশের একটি টিম।
এদিকে একই দিনে দুপুর ৩ টায় পৃথক একটি অভিযানে বরিশাল সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকায় একজন প্রবাসীর স্ত্রী কে একই এলাকার বাসিন্দা আল-আমীন নামের এক যুবক বেশকিছু দিন যাবত বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করে আসছে। বিবাহিত নারী বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর এর কাছে অভিযোগ দিলে আজ প্রমানসাপেক্ষে অভিযুক্ত আল-আমীন (৩৫) কে নারীকে ইভটিজিং করার অপরাধে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় আইনশৃংখলা রক্ষায় বন্দর থানা পুলিশের একটি টিম সহায়তা প্রদান করেন। করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। জেলা প্রশাসন বরিশালের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসেন ও নিশাত ফারাবী।
এসময় তারা করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় নগরীর বিবির পুকুর, সদর রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ১৩ টি প্রতিষ্ঠান কে মোট ২০,৯০০ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।
পাশাপাশি মাস্ক না পরে বাইরে ঘোরাঘুরি করার অপরাধে ৪ জন ব্যক্তিকে ২,১০০ অর্থদন্ড দেয়া হয়। উক্ত অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করেন। অভিযান শেষে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।