বরিশালে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স তৈরীর দায়ে এক নারীর বিরুদ্ধে বিসিসির মামলা

:
: ১ বছর আগে

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা এবং এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স তৈরীর দায়ে বরিশাল নগরীর এক প্রতিষ্ঠান মালিকের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিসিসির ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট এর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বুধবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক ইশরাত জাহান মনির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ইশরাত জাহান মনি গত ০২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য এক কর্মচারিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের ট্রেড লাইসেন্স শাখায় পাঠান। কর্মচারির প্রদানকৃত ট্রেড লাইসেন্স হাতে পেয়ে তা পর্যালোচনা করে ওই শাখার অফিস সহকারী এস.এম রফিক দেখতে পায় ট্রেড লাইসেন্স বহিতে সকল অফিসারদের স্বাক্ষর নকলসহ বিভিন্ন লেখা অসমাপ্ত। এ বিষয়টি ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট এর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনকে জানানো হলে পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখা যায় অভিযুক্তের প্রদানকৃত ট্রেড লাইসেন্স নং-১৭৩৭৩ ওয়ার্ড নং-০৯, ইস্যুর তারিখ-২০/০১/২০২০ উল্লেখ থাকলেও বিসিসির টেড্র লাইসেন্স -এর অফিস কপিতে উক্ত নম্বর উল্লেখ নেই।

এছাড়া প্রদানকৃত ট্রেড লাইসেন্সে ট্রেড লাইসেন্স ইন্সপেক্টর, ট্রেড সুপারিনটেনডেন্ট, রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-বরিশাল ব্রাঞ্চের জুনিয়র কর্মকর্তাসহ যাদের স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে তার সাথেও উল্লেখিত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরের সাথে কোন মিল নেই। বিষয়টি অভিযুক্তে জানানো হলে তিনি এব্যাপারে টালবাহানা মূলক কথাবার্তা বলেন। সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা আসামি অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স তৈরী করেছেন।

পরে মামলার বাদী কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবগত করেন। এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় মামলা দায়ের করেন।