১১ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর কালী বাড়ি রোডের মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে, স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে শিশুদের টিকা খাইয়ে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান।
সারা দেশের সাথে একযোগে বরিশালেও আজ অনুষ্ঠিত হলো ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল হোসেন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এবার নগরীতে মোট ৪৯ হাজার ৬১০ জন এবং জেলার ১০ উপজেলায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৩৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হচ্ছে। সকাল ১০ টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে বিরামহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এই ভিটামিনের বিকল্প নেই। ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ, তবে ভরা পেটে খাওয়া ভালো। যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে তাকে এখন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। উল্লেখ্য বরিশাল জেলায় আজ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৩ হাজার ১০৫ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পূন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৩ জন শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পূন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ২৫০ টি টিকা দান কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। বরিশাল সিভিল সার্জনের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে ৪ হাজার ১০০ জন কর্মী কাজ করছে। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। অপরদিকে বরিশাল সিটি কপোরেশনের আওতায় ২২০ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ৬১০ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫ হাজার ১ শত জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পূন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। একই সাথে ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ৪৪ হাজার ৫১০ শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ওট ক্ষমতা সম্পূন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। ওই দিন সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের ৫ শত জন কর্মী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করছে।