ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ কালুর জানাজা শেষে তাকে নিজ বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুদাসকাঠীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টায় বরিশাল শহরের বগুরা রোডের চৈতন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়। এরপর সেখানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাসহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে বরিশাল সিটি করপোরেশন, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কালুর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ জানান, জানাজা শেষে ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কালুর মরদেহ তার নিজ বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুদাসকাঠীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইউসুফ কালু। সোমবার ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ মে কোলকাতা লালবাজার চলে যান কালু। সেখানে বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির সহযোগিতায় হাসনাবাদ, হিংগলগড়, টাকি হেড কোয়ার্টঅর থেকে প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীতে ৯নম্বর সেক্টরের অধীনে কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন।