বরিশালে শুরু হচ্ছে ভারত উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় শশ্মান দিপাবলী উৎসব। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৮ মিনিটে লগ্ন শুরু হয়ে শেষ হবে বুধবার রাত ১২টা ২ মিনিটে।
ভারত উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় শশ্মান দিপাবলী উৎসব সার্থক করতে গত কয়েক দিন ধরে নগরী কাউনিয়ায় বরিশাল মহাশ্মশান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ধোয়া-মোছার কাজ শেষ হয়েছে। আগত পূর্ণার্থীদের নিরাপত্তায় মহাশ্মশানের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ২০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এছাড়া দিপাবলী উৎসব আয়োজক কমিটি নিয়োজিত ১০০ স্বেচ্ছাসেবক মহাশ্মশানের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনও নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস কালি পূঁজার আগের দিন ভূত চতুর্দশী তিথিতে পূজা অর্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে। তাই আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি প্রয়াত প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে তার সমাধিস্থলে নিবেদন করা হয় প্রয়াতের পছন্দের নানা ধরণের খাবার। সবকিছু করা হয় তিথি থাকা অবস্থায়। এছাড়া সমাধীর পাশে মোমবাতি প্রজ্জলন করে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন স্বজনরা।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৮মিনিটে লগ্ন শুরু হয়ে বুধবার রাত ১২টা ২ মিনিটে লগ্ন শেষ হবে।
প্রতি বছর দেশ-বিদেশের স্বজনহারা মানুষ বরিশাল মহাশ্মশানে এসে প্রয়াত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দের আশা বুধবার লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বরিশাল মহাশ্মশানে। এ জন্য মহাশ্মশানের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ২০টি সিসি ক্যামেরা এবং নিয়োগ করা হয়েছে ১০০ স্বেচ্চাসেবী।
মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি সূত্র জানায়, ৫ একর ৯৬ শতাংশ মহাশ্মশানের পুরনো শ্মশানের অধিকাংশ সমাধি ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো সেখানে ব্রাক্ষ্মণদের ২/৩টি এবং রূপসী বাংলার কবি জীবনান্দ দাসের পিতা সত্যানন্দা দাস ও পিতামহ সর্বানন্দা দাস, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী মনোরমা মাসি মা, শিক্ষাবীদ কালি চন্দ্র ঘোষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমাধি রয়েছে। নতুন পুরনো মিলিয়ে মহাশ্মশানে ৬১ হাজারেরও বেশি সমাধি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজারের অধিক পাকা, ১০ হাজার কাঁচা মঠ এবং ৮শ’ মঠ রয়েছে যাদের স্বজন এই দেশে নেই। সেইসব মঠগুলো হলুদ রং করা হয়েছে। স্বজন না থাকা মঠগুলোতে কমিটির পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হবে।
১৯২৭ সাল থেকে ওই স্থানে শ্মশান দিপাবলী উৎসব পালিত হয়ে আসছে। উপমহাদেশের মধ্যে এ মহাশ্মশানকে ঘিরে সবচেয়ে বড় শ্মশান দিপাবলী হয় বলে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের দাবি।
এদিকে শশ্মান দিপাবলী উৎসব নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com