শামীম আহমেদ: ব্যাটারী চালিত যানবাহন উচ্ছেদ নয়,আধুনিকায়ন করা সহ সংগ্রাম পরিষদের প্রস্তবনা যুক্ত করে বিআরটিএ প্রস্তাবিত থ্রী-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠ ব্যবস্থপনা ও নিয়ন্ত্রন নীতিমালা ২০২১’র দ্রুত চুরান্ত, দ্রুত নিবন্ধন করা রুট পারমিট এবং লাইসেন্স করে বিভিন্ন মডেলের তিন চাকার গাড়ী আমদানী ব্যবসার হীন স্বার্থে ইজিবাইক, রিক্সা ভ্যান সহ ব্যাটারীচালিত যানবাহন উচ্ছেদ আত্বকর্মসংস্থানে নিয়জিত ৫০ লক্ষ পরিবারের জীবন-জীবিকা ধ্বংশ করার প্রতিবাদে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোডের সড়কে অবস্থান নিয়ে শ্রমিক সমাবেশ করা সহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে রিক্সা, ব্যাটারী রিক্সা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা কমিটি।
আজ সোমবার (২০ই) ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ড থেকে শত শত শ্রমিক মিছিল নিয়ে সদররোড সমাবেশস্থলে জড়ো হয়। এ সময় নগরীর সদররোড, গ্রিজ্জামহল্লা সড়ক কাটপট্রি সড়ক সহ কয়েকটি সড়ক অচল হয়ে পড়ে।
সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলা কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এমরান হাবীব রুমনের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী।
এসময় বক্তরা বলেন, ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক বন্ধ করার পূর্বে সকল গাড়ীর মূল্য বাবদ দেড় লক্ষ টাকা সহ সকল চালকদের কর্মসংস্থানের নিশ্চিত করার পূর্বে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হলে সারাদেশে এই আন্দোলন গণ আন্দোলনে পরিনত করা হবে।
সরকার এখন কতিপয় স্বার্থ নেশি মহলের স্বার্থ রক্ষায় আদালতকে ব্যবহার করে ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক রিক্সা বন্ধ করার মাধ্যমে গড়িবের ঘড়ের বাজার কেড়ে নেওয়ার মিশনে নেমেছে।
পরে হাজার শ্রমিক সদস্যরা সদররোড থেকে এক বিশাল মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যান হয়ে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক বরাবর এক স্বারকলিপি প্রদা ন করে।
এর পূর্বে সংগ্রাম পরিষদের আহবানে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হলে সকাল থেকে বরিশাল নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ডের সকল রুটে ব্যাটারী চালিত গাড়ী সহ ইজিবাইক, রিক্স-ভ্যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
অপরদিকে ব্যাটারীচালিত গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে এক শ্রেনির গ্যাসচালিত সিএনজির চালকরা সাধারন যাত্রীদের জিম্মী করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
এছাড়া সাধারন যাত্রীরা বলেন এই ব্যাটারীচালিত গাড়ী চলাচলের জন্য তারা সামান্যতম ভাড়ায় তাদের শিক্ষার্থী সন্তানদের নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে পারছেন।