শামীম আহমেদ : শিক্ষা কোন পণ্য নয়,শিক্ষা আমার অধিকার।শিক্ষা নিয়ে এদেশে ব্যবসা করা চলবে না । করোনাকালীনবেতন ফি বাথিল করার শ্লোগান নিয়ে করোনায় বন্ধকালীন সেশনচার্জ সহ সকল ফি মওকুফ করার দাবীতে বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজ ও সরকারী সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরীর প্রাণ কেন্দ্র সদররোডের প্রধান সড়ক তিনঘন্টা অবরোধ কর্ম সূচি পালন করে।

আজ সোমবার (১৬ই) আগস্ট সকাল ১১টায় থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় সড়কের দু’ পান্তে বিভিন্ন যান বাহন আটকা পড়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন বর্তমান বৈশ্বিক করোনাকালীন সময়ে তারা গত ১৭ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে কোন শিক্ষকের দেখাতো পাই নাই।

একই সময়ে তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। পাশাপাশি তারা অনেকেই আবার মধ্য ও নি¤œবিত্ত পরিবারের সন্তান।

এই সময়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের উপর ১৫ থেকে ৪৭ হাজার টাকা বিভিন্ন ফি ধার্য করা হয়েছে। এই ফি তাদের পরিবারের পক্ষ এই মুহুর্তে পুরন করা সম্ভব নয় বলে দাবী করেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী অদিতি ইসলাম,মিম ইসলাম,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সুজন আহমেদ,শিক্ষার্থী লাকিয়া,সুজন, সাগর,সায়মন,সাইফুল,মুন প্রমুখ।

একই সময়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন বরিশাল জেলা বাসদ সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী ও আহবায়ক ইমরান হাবীব রুমন।

পরবর্তীতে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি তুলে নিতে ব্যার্থ হলে বরিশাল মেট্রোপলিটন (দক্ষিন) উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান কলেজ শিক্ষকদের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের বিষয় নিয়ে কথা বলার আশ্বাষ দিলে পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।

একই সময় বরিশাল নগরীর কাউনিয়া টেক্সটাইল মিলের মহিলা শ্রমিক সদস্যরা মিল কল-কারখানা খুলে দেয়ার পাশাপাশি তাদের ৯ মাসের বকেয়া বেতনের দাবীতে সমাবেশ করার পাশাপাশি তারাও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।