বরিশালে বৃষ্টিমুখর রমজান মাসের প্রথমদিন। ফলে স্বাভাবিক দিনের থেকে গরম কিছুটা কমে যাওয়ায় রোজাদাররা বেশ স্বস্তিতেই দিনটি পার করছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রয়োজন ব্যতিত তেমন কাউকে বাইরে বেরুতে দেখা যায়নি। নগরজুড়ে দিনের বেশিরভাগ রাস্তাঘাটে অনেকটাই ফাঁকা ছিলো। তেমন একটা যানজট দেখা যায়নি নগরের ব্যস্ততম সড়ক সদররোডেও।
বৃষ্টির কারণে ক্রেতা না থাকায়, হাটখোলা-বাজাররোড, পোর্টরোডের খেটে খাওয়া মেহেনতি মানুষের কর্মে কিছুটা ভাটাও পরেছিলো। তারাও অনেকটা আলসে দিনে কাটিয়ে অল্প রোজগার শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তবে মহল্লার মসজিদগুলোতে জুমার নামাজে ছিলো মুসল্লিদের ব্যাপক ভিড়।
শুক্রবার (১৮ মে) সকাল থেকেই বরিশালের আকাশ অনেকটাই মেঘাচ্ছন্ন ছিলো। দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ বরিশাল শহরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। প্রথমে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হলেও বিকেল ৪টার দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে থেমে থেমে বজ্রপাত হচ্ছিল। তবে শুধু বরিশাল শহরেই নয় জেলা ও বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় দুপুর থেকে বৃষ্টি হতে শুরু করে।টানা বৃষ্টিতে বরিশালের নিম্নাঞ্চলসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা। রিশাল আবহাওয়ার অফিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত শনিবার(১৯ মে) কিছুটা কমতে পারে। তবে আজ মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনাও রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় জানান, দুপুর ১২টা ৫মিনিট থেকে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনো গুঁড়িগুঁড়ি, কখনো মষুলধারে। সঙ্গে থেমে থেমে বিজলী চমকাচ্ছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার। দিনে বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোনিম্ন ছিলো ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে শুধুমাত্র ৬৫ ফুটের নিচের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্য সব লঞ্চ চালকদের সতর্কতার সহিত লঞ্চ চালনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এদিকে টানা বৃষ্টিতে বরিশালের নিম্নাঞ্চলসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।