বরিশালে বৃত্তি পরীক্ষার্থী প্রায় ৪০ হাজার

:
: ২ years ago

শামীম আহমেদ ॥ বরিশালে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় ১০ শতাংশ হারে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। বরিশাল সদর মিলিয়ে জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ৩৯ হাজার ৬১৫ জন। এরমধ্যে ১০০ জন ইংরেজী ভার্সন বাদে বাকি সবাই বাংলা বার্সনের শিক্ষার্থী।

জেলায় মোট ১১ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ও কেন্দ্র তালিকা প্রস্তুত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে চিঠি প্রেরণ করে বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী। ১৮ হাজার ৫৬ জন ছেলে পরীক্ষার্থীর বিপরীতে মেয়ে পরীক্ষার্থী ২১ হাজার ৪৫৬ জন। জেলার মধ্যে সব চেয়ে বেশী পরীক্ষার্থী বরিশাল সদর উপজেলায়।

সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে এই উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৯ হাজার ৪২ জন। এর পরই রয়েছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫ হাজার ৬৯৮ জন। বরিশাল সদরের জন্য ২ টি কেন্দ্র এবং প্রত্যেক উপজেলার জন্য একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস বলেন, আমরা জেলার তথ্য ও কেন্দ্রের চাহিদা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছি। আপাতত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে। শনিবার রাতে ঢাকার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সভা হয়েছে। সেখানে সব কিছু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। ১০ শতাংশের বেশী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন বেলা ১১টায় উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষা শুরু হবে। ২৭ ডিসেম্বর পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টা সময়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানা গেছে, করোনার কারণে গত দুই বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরও এ পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা সরকারের নেই। তাই চলতি বছর প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়েছিলো।