বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় তানিয়া আক্তার নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত নারীর স্বামী ও বাবার পরিবারের দাবি, লেখাপড়ায় অমনযোগী হওয়ায় গালমন্দ শুনে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন তানিয়া।
নিহত তানিয়া মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মাইদুল ইসলামের স্ত্রী এবং হিজলার টেক এলাকার চরপুকরিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। তানিয়া মুলাদী উপজেলার ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার অনার্স শেষবর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সবুর খান জানান, মাস কয়েক আগে মাইদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় তানিয়ার।
সামনে অনার্স পরীক্ষার কারণে তাকে স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়নি। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তিনি লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে পড়েন। বুধবার রাতে এ কারণে বাবার বাড়িতে তানিয়াকে লেখাপড়া নিয়ে বকাঝকা করতেন তার মা।
অভিমান করে ইঁদুর দমনে বিষজাতীয় দ্রব্য খেয়ে আত্মহত্যাচেষ্টা করেন তানিয়া। রাতেই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যরাতেই তার মৃত্যু হয়।
এসআই সবুর খান আরও বলেন, আত্মহত্যা নিয়ে স্বামী ও বাবার পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।