বরিশালে বাড়তি ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে অটো-মাহিন্দ্রা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরিশাল নগরীতে মওকা বুঝে অটোরিকশা এবং মাহিন্দ্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। এবার বেশি যাত্রী নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। একাধিক রুটে কিছু চালক পুলিশের চোখ এড়িয়ে কখনও ৭ জন, কখনও ৮ জন যাত্রীও অটোরিকশায় তুলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। একইভাবে মাহিন্দ্রায় কখনও ৯-১০ জন যাত্রী তুলছেন চালকরা।

তবে একাধিক চালক দাবি করেছেন, কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার জন্য যাত্রীরাই বিধি না মেনে অটো বা মাহিন্দ্রায় উঠে পড়ছেন। তখন ভাড়াও তুলনামূলকভাবে কম নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার সকালে নগরীর চৌমাথা, সাগরদি, রূপাতলি ও লঞ্চঘাট এলাকায় এমন কিছু অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রায় মাঝরাস্তায় অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কয়েক জায়গায় ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে অটো ও মাহিন্দ্রা চালকদের বচসা চলছিল।

দেখা গেছে, ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা। আর ১০ টাকার ভাড়া ১৫/২০ টাকা এবং ২০ টাকার ভাড়া ২৫/৩০ টাকা আদায় করে নেওয়া হচ্ছে। মানসম্মানের ভয়ে অনেক যাত্রীর অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, ভাড়া বেশি নেওয়া হলেও করোনাভাইরাসের এই সময়ে অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রায় স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হচ্ছে। এরপরও যাত্রীদের কাছ থেকে চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন। যদি অটোরিকশায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫ জনের সিটে ৩ জন যাত্রী বহন করতেন তাহলে ভাড়ার বিষয়টি মানা যেতো।

তবে অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা চালকদের কাছে ভাড়া বেশি আদায়ের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার প্রতিবাদ কারায় গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরীর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সামনে সৈয়দ আক্তার হোসেন বাদল নামে এক যাত্রীর মুখমণ্ডল ফাটিয়ে দেয় অটো চালক। আহত যাত্রীকে পরে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন ভাড়া দাবি করলে ওই যাত্রীর সঙ্গে অটো চালকের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে অটো চালক ওই যাত্রীর ওপর হামলা চালায়। এতে যাত্রী বাদল মুখমণ্ডল ও ডান চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন।