বরিশালে বাস টার্মিনালে সংঘর্ষ, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি গ্ৰেফতার

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের দখলকে কেন্দ্রে করে জেলা বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদকসহ দুজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান মাসুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে নগরীর রূপাতলী থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসাইন জানান, রূপাতলীতে সোমবার সন্ধ্যায় বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা সেতারা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বরিশাল সিটি কপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান জাকির মোল্লা, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান মাসুম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল ইসলাম রনি, সোহেল মোল্লাসহ আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুমকে সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত লোকমান হোসাইন বলেন, রাতে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলেও পুলিশ মোতায়ন করা আছে। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় রূপাতলী বাস টার্মিনাল দখলকে কেন্দ্রে করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী শ্রমিকেরা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লা (৪০) ও তার সহযোগী আল আমিন (২৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় রাতেই গুরুতর আহত সুমন মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তার মা সেতারা বেগম কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে মেয়র অনুসারী বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা সোমবার রূপাতলী এলাকায় যাইনি। তাই এটা কারা করেছে সে ব্যাপারে কিছুই জানি না। কেউ অভিযোগ করলেই সেটা সত্য হয়ে যায় না। ওখানে কী ঘটেছে সেটা আমাদের জানা নেই।