বরিশালে বাসদ নেতাকর্মীদের পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ

:
: ৬ years ago

বরিশালে আটক বাসদ নেতাকর্মীদের পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রি দল(বাসদ) এর বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী। গত ১৯ তারিখ পুলিশ ও বাসদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার সময়ে আটকৃত বাসদের ৬ নেতা কর্মীকে থানা হেফাজতে ওই রাতে ও পরের দিন ২০ এপ্রিল সকালে পুলিশী নির্যাতনের এই অভিযোগ আনা হয়। শনিবার বেলা ১২টায় নগরীর ফকির বাড়ী রোডস্থ বাসদ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ তিনি এ কথা জানান।

গত ১৯ এপ্রিল বরিশালে ব্যাটারি চালিত রিক্সা শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির ভূখা মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুলিশের সাথে বাসদ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ সময়ে ডা. মনীষাসহ ৬ নেতা কর্মীকে আটক করেছিলো পুলিশ। ওই রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ১১ রিক্সা ও বাসদ নেতা কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। ওই মামলায় গত মঙ্গলবার মনীষা চক্রবর্তী অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পেয়ে শনিবার সিপিবি-বাসদ-গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার আয়োজেনে এই সংবাদ সম্মেলনে মনীষা চক্রবর্তী এই অভিযাগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যনার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির বরিশাল জেলার সভাপতি এ্যাডভোকেট একে আজাদ, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ সম্পাদক অধ্যাপক জলিলুর রহমান, গণসংহতির আন্দোলনের আহবায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক সাইদুর রহমান প্রমূখ। লিখিত বক্তৃতায় ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ১৯ তারিখ ব্যাটারি চালিত রিক্সা শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি ও বাসদের আয়োজনে ভূখা মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতা কর্মীদের নিয়ে ফেরার পথে পুলিশ বিনা উস্কানিতে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়।

আটক নেতা কর্মীদের কোতয়ালী থানার দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে বাসদের জেলা কমিটির আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমন ও আমাকেসহ আট নেতা কর্মীদের দুই দফা অমানবিক ও ভাষায় বর্ননাহীন নির্যাতন চালানো হয়। তিনি বলেন, নির্যাতনের ভয়ংকর চিত্র ছিলো ২০তারিখ সকালে। পুলিশ আমাদের সদর হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপ শেষে সকাল ১০টায় থানায় এনে উপ পরিদর্শক (এসআই) হাসানসহ পুলিশ সদস্য আমাকে ও বাসদ জেলা কমিটির আহবায় রুম্মান এবং নাসরিন আক্তার টুম্পাকে চর থাপ্পরের এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে বেধরক পেটায়। একই সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। নির্যাতনের সময়ে দোতালায় থাকা সকল পুলিশ সদস্যদের বের করে দেওয়া হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া ঘটনার দিন রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ রিক্সা শ্রমিকসহ বাসদ নেতাদের ধরে এনে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখায়। সকালে পুলিশ তাদের উপরেও নির্যাতন চালিয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমীন বলেন, ‘আটক বাসদ নেতা কর্মীদের পুলিশ হেফজতে নির্যাতন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। যদি বাসদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ থেকে থাকে তা হলে তারা লিখিত অভিযোগ দিতে পারে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে অভিযুক্তর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।’