বরিশালে বানারীপাড়ায় ৪টি ফার্মেসী ও ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ এবং বরিশালের ঔষধ প্রসাশনের তত্ত্বাবধায়ক এসএম সুলতানুল আরেফিন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফার্মেসীতে রেখে বিক্রির দায়ে মৃধা ড্রাগ হাউস ৮ হাজার, সিকদার মেডিকেল ২ হাজার,দেব মেডিকেল ২ হাজার ও পদ্মা মেডিকেলকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেবা সদন ১০ হাজার,মনোয়ারা ৫ হাজার ও মেডি এইডকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মেডি এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ক্যামিকেল রিজওয়ান দিয়ে পরীক্ষা ও পাশ্ববর্তী বানারীপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক্সরে করে তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে চালানোর বিষয়টি ধরা পরে।
এছাড়াও তাদের রানা বড়াল নামের যে টেকনিসিয়ান রয়েছেন তারও কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। আইডিয়াল মেডিকেল সার্ভিসেস প্রায় ১ বছর পর্যন্ত কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করছে। মনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করছে,সেবা সদন’র কর্তৃপক্ষও তাদের অনুকুলে তেমন কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর লাইন্সেসের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মালিকপক্ষ। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির হাসানের কাছে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে বানারীপাড়ার অবৈধ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ কেন বাস্ত^বায়িত হয়নি জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে এসব প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হলেও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে অভিযানের খবর পেয়ে বন্দর বাজারের অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে গাঢাকা দেন। বানারীপাড়ার সিংহভাগ ঔষধ দোকানীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই এবং তারা নিষিদ্ধ,নিম্নমানের ও মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান শিগগিরই অবৈধ সেবা সদন ক্লিনিক সহ সব প্রতিষ্ঠানে বড় ধরণের অভিযান চালানো হবে।