বরিশালে বানারীপাড়ায় নিহত আ.লীগ কর্মীর তিন সন্তানের দায়িত্ব নিলেন শাহে আলম

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বানারীপাড়ার বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের খ্রিস্টান পল্লীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আশিষ বাড়ৈ(৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত ও ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শোভা রঞ্জন চৌধুরী ও অমল বাড়ৈ’র মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দুই একর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সম্প্রতি অমল বাড়ৈ বরিশাল জজ আদালত থেকে শোভা রঞ্জন চৌধুরীর দখলে থাকা ওই সম্পত্তির মালিকানার রায় পান। শুক্রবার সন্ধ্যায় জমি সংক্রান্ত এ বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালীণ সময়ে স্থানীয় চৌমোহনা বাজারে অবস্থানরত শোভা রঞ্জন চৌধুরীর ছেলে রতন চৌধুরী ও তাদের পক্ষের প্রভুদান,বিভুদান,কালু ও মিলন খবর পেয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে অমল বাড়ৈ(৬৫),তার স্ত্রী আশালতা বাড়ৈ(৬০) ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী আশিষ বাড়ৈ(৪৫),পুত্রবধু স্নিগ্ধা(৪০),মেয়ে গোলাপী বাড়ৈ(২৫),জয় সরকার (১৪),তাদের বাড়িতে বরিশাল থেকে বেড়াতে আসা ফয়সাল মাহমুদ(২০),অপর পক্ষের মিলন চৌধুরী(২৭),শিমন সরকার(৩৫),শোভা রঞ্জন চৌধুরীর স্ত্রী হান্না চৌধুরী(৫০) গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে আশিষ বাড়ৈকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং আশংকাজনক অবস্থায় শিমন সরকার,মিলন চৌধুরী,অমল বাড়ৈ,গোলাপী বাড়ৈ, স্নিগ্ধা বাড়ৈ ও আশালতা বাড়ৈকে বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে রেফার করেন। বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়।

বানারীপাড়া মডেল থানার ওসি(তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিশারকান্দি ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রাম থেকে শোভা রঞ্জন চৌধুরী,রতন চৌধুরী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জেমসকে আটক করা হয়। এছাড়া বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধিন কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে শনিবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজন,প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় নিরপেক্ষ লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে এ ব্যপারে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এসময় তিনি নিহত আশিষ বাড়ৈর অবুঝ তিন সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কৃষিবিদ ডা. খোরশেদ আলম সেলিম,উপজেলা ওয়াকার্স পার্টির সম্পাদক অধ্যাপক মন্টু লাল কুন্ডু,বিশারকান্দি শের-ই বাংলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন, ওসি(তদন্ত) জহিরুল ইসলাম,বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত,সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডওয়ার্ড বিশ্বাস নান্নু ও ওমর ফারুক,বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি রাহাদ সুমন,সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা,সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক শাহিন প্রমুখ ।