বরিশালে বাড়ি ফেরার পথে যুবক খুন

:
: ১ বছর আগে

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আলী হোসেন মীর (২২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা। সহপাঠী এক বান্ধবীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত আলী হোসেন মীর চরপদ্মা গ্রামের বাবুল মীরের ছেলে। তিনি ঢাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলী হোসেন মীরকে উদ্ধার করে স্বজনরা পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ঘাতকদের চিহ্নিত করে আইনের
আওতায় নেওয়ার জোর তৎপরতা চলছে।

নিহতের বাবা বাবুল মীর জানান, ৪-৫ দিন আগে তার ছেলে আলী হোসেন ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্ধু এনায়েত হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের সাহেব আলী ঘরামীর বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যায়। রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা আলী হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহতের বন্ধু এনায়েত হোসেন বলেন, গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শেষে আলী হোসেন বাড়ি যাওয়ার জন্য তাকে কিছু পথ এগিয়ে দিতে বলে। কিছুদুর এগিয়ে দেওয়ার পর আলী হোসেন একাই বাড়ি যেতে পারবে বলে জানায়। তখন আলী হোসেন একা বাড়ির দিকে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলী হোসেন বাড়ি পৌঁছেছে কিনা জানতে তার মোবাইলে ফোন দিলে আলী হোসেন বলে, বন্ধু আমাকে বাঁচা, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। এরপর আর কোনো কথা বলতে পারেননি আলী হোসেন।

এনায়েত হোসেন আরও বলেন, সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনা আলী হোসেনের বাবা-মা ও অন্যান্য স্বজনদের জানিয়ে তাকে রক্ষার জন্য বের হই। চরপদ্মা গ্রামের মেলকার বাড়ির পাশে গিয়ে দেখি আলী হোসেন রক্তাক্ত এবং অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তখন আলী হোসেনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।