বরিশালে বাকেরগঞ্জ ওসির শেল্টারে চলা লটারীতে সর্বশান্ত হচ্ছে যুবসমাজ

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বাকেরগঞ্জে  আনন্দ মেলার নামে চলছে সর্বনাশা লটারী ও  অবৈধ জুয়া। স্থানীয়দের ম্যানেজ করে এ মেলা চলছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নয় বলে দাবি করেছেন।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জনা গেছে, সম্প্রতি বাকেরগঞ্জ পৌর বনিক সমিত কর্তৃক ৪৫ দিন ব্যাপী আনন্দ মেলার আয়োজনের জন্য অনুমতি দেয়া হয় তবে মেলায় ১১টি শর্ত জুরে দেয় জেলা প্রশাসক ও বরিশালের পুলিশ সুপার। কিন্তু ঐ সব শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীলতা ও জুয়া পরিচালনা করে আসছে মেলা কমিটি। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালী ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বেশ কিছু কর্মকর্তা ও বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মাসুদকে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে।মেলায় প্রতিদিন লটারীর নামে ২০ টাকা করে বিক্রী করা হয় টিকেট।আর আর্কষনীয় পুরুষ্কারের লোভে সাধারন মানুষ টিকেট কিনে হচ্ছে নিঃস্ব।আমাদের স্থানীয় একাধিক সোর্স জানায় মেলা বাকেরগঞ্জে চললেও ঐ লটারীর টিকেট বিক্রী হয় দপদপিয়া ও লেবুখালী সহ প্রায় ১৪ টি ইউনিয়নে।প্রতিদিন প্রায় ১০০ অটো গাড়ীতে এ টিকেট বিক্রী চলে।প্রতিদিন লটারী কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।অন্যদিকে রাতের আধারে মেলার নামে জুয়া বানিজ্য চালিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।এ জুয়ার মেলা নিয়ে গোটা বরিশালে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।

যদিও বরিশালের প্রশাসনকে না জানিয়ে এ মেলায় জুয়া ও লটারী চালানো হচ্ছে। অভিযোগ করেছে  প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে এসব জুয়া পরিচালনা করে মেলা কমিটি।আর এতে শেল্টার দিচ্ছে ওসি মাসুদুজ্জামান।

মেলার অনুমতি পত্র সূত্রে জানা গেছে যে, এই মেলায় বেশ কয়টি শর্তে জুরে দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো যে, কোন প্রকার জুয়া, স্যুটিং, লটারী, অশ্লীল নৃত্য, র‌্যফেল ড্র, সাবান লটারি ও হাউজি কোন ক্রমেই চলতে পারবে না বলে জেলার বিশেষ শাখায় পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে। যার স্মারক নং-২০১৯/৬৯৮। সম্প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।তবুও ওসি ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে চলে অবৈধ এ মেলা।পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের নজরে এ বিষয়টি আসলে তিনি হাউজি ও যাত্রা সহ সকল প্রকার অবৈধ স্টল বন্ধ করে দেন।কিন্তু প্রতিরাতে অনুষ্ঠিত হয় লটারী।আর গভীর রাতে চলে জুয়া।এ ক্ষেত্রে থানার ওসিকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে এ মেলা।এক শ্রেণীর মানুষ রাত জেগে এসব জুয়া খেলে টাকা পয়সা নষ্ট করছে। যার ফলে
আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান- এ ধরনের কোন বিষয় নেই।লটারীও চলে না।

এ বিষয়টি বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে আলাপকালে তিনি বলেন মেলার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।তারা শর্ত ভঙ্গ করেছে।কোনভাবেই মেলায় হাউজি, র‌্যাফেল ড্র ও জুয়া চলতে দেওয়া হবে না। একই বিষয় নিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম. আজিয়ার রহমান বলেন- বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

সামনে এইচএসসি পরীক্ষা।বাকেরগঞ্জের সচেতন মহল এ বিষয়ে বরিশাল রেঞ্জের সৎ ও নীতিবান ডিআইজি শফিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।