বরিশালে বসছে অর্ধশত পশুর হাট

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায়সহ জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫১ টি পশুর হাট বসতে যাচ্ছে।

স্থায়ীহাটের অনুমোদন আগে থেকে নেয়া থাকলেও অস্থায়ী হাটের অনুমোদনের বিষয়ে চূরান্ত সিদ্ধান্ত বৃহষ্পতিবারর (১৬ আগষ্ট) দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বরিশাল জেলায় ১৬ টি স্থায়ী পশুর হাঁট রয়েছে। যারমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ১ টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি, বানারীপাড়ায় ২ টি, গৌরনদীতে ২ টি, মুলাদীতে ৬ টি, হিজলায় ১টি ও মেহেন্দিগঞ্জে ১ টি।

এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩ টি, বরিশাল সদর উপজেলার ৮ টি, মুলাদীর ৫ টি, গৌরনদীর ২ টি, আগৈলঝাড়ার ৩ টি, বাবুগঞ্জের ৫ টি, বাকেরগঞ্জে ৩ টি ও উজিরপুরের ৪ টি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যারমধ্যে মুলাদীর ৫ টি বাদে বাকীগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ৫ টিরও অনুমোদন দ্রুত সময়ের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অপরদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাটঁ-বাজার শাখা সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল নগরের বাঘিয়া এলাকায় ১টি ও পোর্টরোডে ১টি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এরবাহিরে বরিশাল নগরের রুপাতলী মোল্লা বাড়ির মাদ্রাসা মাঠ, কালিজিরা বাজার ও সিএন্ডবি রোড সেচ ভবনের পাশে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য এ পর্যন্ত আবেদন পাওয়া গেছে।

যারমধ্য থেকে নীতিগতভাবে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটকেই অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটঁ-বাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, বিগত সময়ে অস্থায়ী হাট নিয়ে উদ্যোক্তদের মধ্যে ব্যাপক তোড়জোড় থাকলেও এবার দেখা যাচ্ছে না। গত বছরও ৫ টি অস্থায়ী পশুর হাট ছিলো বরিশাল নগরে কিন্তু এ বছর এ পর্যন্ত তিনটি অস্থায়ী হাটের জন্য আবেদন পরেছে, যার অনুমতি দেয়া হয়েছে। অপরদিকে স্থায়ী হাট কেউ ইজারা না নেয়ায় নিজস্ব জনবল দিয়ে স্থায়ী হাট দুটি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এরবাহির নগরে কেউ পশুর হাট বসালে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ লক্ষে শহরজুড়ে নজরদারী জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি দেখভাল করবেন।

এদিকে হাটগুলোকে ঘিরে চাঁদাবাজি রোধ, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে মেশিন ও অনলাইন-মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখা হবে।