বরিশালে পটকা ফুটানো নিয়ে বিরোধে তিন কিশোরের মারধরে আরেক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।
নিহত রমজান আলী বেপারী নগরীর হাজেরা খাতুন স্কুল সড়কের বাসিন্দা বাদল বেপারীর ছেলে। ১৪ বছরের এই কিশোর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিল।
পরিদর্শক লোকমান বলেন, নগরীর নথুল্লাবাদ লুৎফর রহমান সড়কের হাজেরা খাতুন স্কুলের পিছনে বালুর মাঠ রয়েছে। সেখানে পটকা ফুটানো নিয়ে রমজানের সঙ্গে তিন কিশোরের দ্বন্দ্ব হয়।
এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে স্কুলের পিছনে রমজানের মাথায় ঘুষি ও পেটে লাথি দেয়াসহ মারধর করে তিন কিশোর। এতে রমজান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে তার অবস্থা গুরুতর হলে শুক্রবার সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আধা ঘণ্টা পর রমজানের মৃত্যু হয়।
পরিদর্শক লোকমান আরও বলেন, ঘটনার পর মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানা দুই কিশোরকে আটক করে তাদের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের একজনের বয়স ১২ বছর, অপর জনের ১৪।
নিহত কিশোরের বাবা বাদল বেপারী বলেন, তিনি তিন কিশোরকে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করবেন।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা এয়ারপোর্ট থানার এসআই সিএম মেহেদি হাসান ডটকমকে বলেন, “রমজানের মাথায় ও বাম কানের উপরিভাগে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
“ধারণা করা হয়েছে, ঘুষির আঘাতে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।”
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।