বরিশালে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে বিএমপি উত্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহান এ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ শনিবার (১৫ আগষ্ট) দুপুরে নথুল্লাবাদ বিএমপি ডিসি উত্তরের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ খাইরুল আলম বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী আজ।

 

১৯৭৫ সালের এ দিনে কাকডাকা ভোরে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব,

 

বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ,

 

মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

 

এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

 

তিনি যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তখনই ঘটানো হয় এ নৃশংস ঘটনা। পরিসমাপ্তি ঘটে একটি ইতিহাসের।

 

সে থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলার আকাশ-বাতাস ও মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা, যা কোনোদিন হয়নি, হবেও না।

 

পৃথিবীতে বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম, তার কর্মও ততদিনই থাকবে। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, বরিশাল সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ জাকির হোসেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসরিন জাহান,

 

কাউনিয়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম, এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ বিন আলম, কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজিমুল করিম, কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ লোকমান হোসেন, এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।