নির্মম ইতিহাসের স্বাক্ষী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটিসহ ১৫ আগস্ট কালরাতে নির্মমভাবে হত্যার পর নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে থাকা বঙ্গবন্ধুর লাশের প্রতিকৃতী অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শৈল্পিক কারুকাজে। যা দেখে আঁতকে ওঠেন বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতের সেই নির্মম শোকাবহ ঘটনা বর্তমান প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বরিশাল নগরীতে কালো ও লাল রঙের নানান শৈল্পিক কারুকাজে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ করা হয়।

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরিশাল নগরীর নাজিরেরপুল এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িসহ শোকের তোরন, শোক পতাকা, ১৫ আগস্ট কালরাতে নির্মমভাবে একদল বিপথগামী ঘাতক সেনাদের নির্মম বুলেটে শহীদদের ছবিসহ আবেগাপ্লুত বিভিন্ন বাণী সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বর্তমান প্রজন্ম এবং সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তুলে ধরেছেন রফিকুল ইসলাম খোকন। দীর্ঘ বছর থেকে তিনি (খোকন) প্রতিবছর শোকের মাসে এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কাল রাতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে ঘাতকেরা বরিশালের সন্তান বঙ্গবন্ধুর বোনজামাতা আবদুর রব সেরনিয়াবাতের পরিবারের ওপরও বর্বর হামলা চালায়। যেকারণে প্রতিবছর দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে বরিশালে সবচেয়ে বেশি এ দিবসটিকে গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে বরিশাল নগরীসহ জেলার বিভিন্নস্থানে শোভা পাঁচ্ছে হাজার-হাজার পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ শত শত বিশালাকৃতির শোকের তোরন। এরমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রবেশ ফটকে লাল-কালো রঙের ব্যবহারে টানানো হয়েছে শহীদদের ছবি। যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশালাকৃতির ছবির পাশে রয়েছে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছবি। এরপর একে একে সকল শহীদদের মুখায়ব।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট কাল রাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে নিহত সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠন এবং প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পোষ্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ড ও শোকের তোরন নির্মান করা করেছে। প্রতিটি তোরনে রয়েছে সকল শহীদদের মুখায়ব। অন্যদিকে জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন কালো কাপরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শোকের তোরন, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে মাহিলাড়ার বিভিন্ন জনপদ। এ ছাড়া শোকের মাসের শুরুতেই বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের জেলার প্রতিটি বাসষ্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নির্মান করা হয়েছে বিশালাকৃতির শোকের তোরন।