এম.এস.আই লিমনঃ ত্রিমাত্রিক পদক্ষেপে বিসিসিতে গতিশীলতা ফিরছে বারছে নগর সেবা এর মূল মন্ত্রে রয়েছে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।দক্ষ নগরপিতার স্বচ্ছ বিসিসি গড়ার সফলতায় ইতোমধ্যেই সারা জাগিয়ে তুলেছে।নিশ্চিত নগরসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ব্যক্তি দক্ষতাগুনে ধারাবাহিক ভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে সফলতা অর্জন করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চতুর্থ পরিষদের নির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
অধিক জনবল আর রাজস্ব আয়ের কমতিতে এর আগের পরিষদ গুলোর নির্বাচিত কোন মেয়ররাই তাদের দায়িত্ব পালন কালে কর্তব্যরত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা সম্পূর্ণ করতে পারে নি। দুই তিন মাস বকেয়া বেতনের অভিশাপ নিয়েই দূর্নীতির আশ্রয় তলে অনিয়ম কে নিয়মে পরিনত করে দূর্নীতির আতুড় ঘর হিসেবে তৈরী করেছিল কতিপয় অসহায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা পেটের দায়েতে। সাবেক মেয়রের আমলে তাদের বেতন বকেয়ার হিসাব ছয় মাস অর্থাৎ অর্ধ বছরে গিছে পৌছালে লাগাতার কর্মবিরতী আর আন্দোলনে গোটা দেশে তাক লাগিয়ে দেবার মত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। সাবেক নগর পিতারা প্রকল্প আর নির্মান সংস্করণ শত কোটি টাকার কাজের টেন্ডার ফাইল আর বিল পার্সেন্টটিসে মগ্ন থাকায় রাজস্ব আয় আর নগর সেবা মান ই ছিল নিম্ন। ফলে কর্তব্যরতদের বেতন পরিশোধ করতে রাজস্বে ঘাটতি পরায় বকেয়ার হিসাব বকেয়াতেই পরে থাকার এক প্রকার রীতি হয়ে উঠে ছিল বিগত পরিষদের সময়ে।
তবে প্রকৃত ভাবে নগর পরিচালনার পারিবারিক শিক্ষায় মেয়র তার ব্যক্তি দক্ষতাগুনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনের বকেয়া থাকার অভিশাপ থেকে মুক্ত করে দৃষ্টান্ত উদাহরণ হয়ে রয়েছে বলে বিসিসি’র একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানায়।গত বৃহস্পতিবার স্থায়ী ৫৩৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারী ও ১৪৫৬ জন অস্থায়ী দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন করে একসাথে দিয়ে ২০১৮ সালের বেতনের বকেয়ার হিসাবে পাট শেষ করা হয়েছে। একই দিনে স্থায়ী অস্থায়ী সকলদের বেতন পরিশোধে উৎসব মূখর আমেজ দেখা গিয়েছে কর্তব্যরতদের মাঝে।
স্থায়ী সকলদের বকেয়া সম্পূর্ণ বেতন পরিশোধ এবং অস্থায়ীদের দুই মাসের বেতন পরিশোধের পরে আরো বকেয়া দুই মাসের বেতনো আগামি সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলেও বিসিসি সূত্রে জানা গেছে।বকেয়া বেতনের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার দক্ষ মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র কালীবাড়ি রোডস্থ তার বাস ভবনে কর্তব্যরত স্থায়ী অস্থায়ী আড়াই তিন শতাধিক বিসিসি’র কর্মকর্তা কর্মচারী সহ শ্রমিকদের আনন্দের চোখে জ্বলের মাধ্যমে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দৃশ্য স্মরণীয় হয়ে গেথে থাকবে উপস্থিত সকলের কাছে।
বিসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানায়,অস্থায়ী সকলদের বকেয়া বেতনের দুই মাসের বেতন দেয়া নিশ্চিত করার পরে স্থায়ীদের বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে।তাছাড়া অস্থায়ীদের বেতন খুবই অমানবিক তাই তাদের বেতন বৃদ্ধি করার চিন্তাও করছেন মেয়র মহোদয়।তাদের সকল বকেয়া পরিশোধ আর বিসিসি’র সকল ঋন মূক্ত হওয়ার আগে তিনি কোন সম্মানি ভাতা নিবেন না বলেও দায়িত্ব গ্রহন কালে জানিয়েছেন। এর আগের পরিষদের মেয়াদকালে নাগরীক সেবা নিশ্চিত না করে প্রতি অর্থ বছরে নাগরীকদের উপর গৃহকর বৃদ্ধি করায় নাগরীকরা তাদের কাঙ্খিত সেবা বঞ্চিত হওয়াতে সময় মত গৃহকর পরিশোধ করতো না ফলে বিসিসি’র রাজস্ব আয় বৃদ্ধি না পাবার ফলে প্রতি মাসের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে আমাদের মাননীয় মেয়র মহোদয় দায়িত্ব গ্রহন করে সর্ব প্রথমেই নাগরীক সেবার মান বৃদ্ধি করে এবং তিনি তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা নগরী ঘুড়ে পর্যবেক্ষন করে ফলে নগরবাসীরাও তাদের কাঙ্খিত সেবা পাওয়ায় তাদের গৃহকর উত্তোলনের জন্য আর বাড়ী বাড়ী যেতে হচ্ছে না তাদের সেবার মান অক্ষুণ্ণ রাখতে সময় মতই তাদের নির্ধারিত গৃহকর ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছে ।
যে কারনে বেতন পরিশোধেও পূর্বের মত রাজস্ব ফান্ডের অভাবে জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না৷ ভেটেরিনারি সার্জেন ডাক্তার মোঃ রবিউল ইসলাম জানায়,নগর সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আয়ও দৈনন্দিন বারছে ফলে প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসেই দেয়া সম্ভব হওয়ার উপক্রম ঘটছে আর বিসিসি’র কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা ফিরে আসতে শুরু করেছে।সম্পত্তি শাখার ভূমি কর্মকর্তা(এ্যাস্টেট অফিসার) মাহাবুবুর রহমান শাকিল বলেন, উন্নয়ন শীল উন্নত দেশে রুপান্তরিত করার বর্তমান সরকার দলীয় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয় উন্নয়ন এবং নগরসেবায় অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন গুলোর থেকে স্বল্প সময়েই সচ্ছ দূর্নীতি মূক্ত আর শতভাগ নিশ্চিত নগরসেবা প্রদানে এগিয়ে রাখতেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
নগর পরিচালনার পারিবারিক শিক্ষা গুনে আর নিজ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার দক্ষতায় পর্যায় ক্রমে যেভাবে মেয়র মহোদয় একটি নিয়মের মধ্যে সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে এনেছে। সকল দপ্তরের নগরসেবার কাজ আরো গতিশীল হচ্ছে। বিসিসিতে প্রথম %