পেটের ক্ষুধার তাগিদে মানুষ কত কিছুই না করে। এমনই এক হিন্দু পরিবার তাদের পেটের জ্বালা নিবারনের জন্য যশোর থেকে বরিশালে এসে ইট ভাটায় কাজ নেন সংখ্যালঘু প্রতাব বিশ্বাস কিন্তু সেখানেও আঘাত হানে বিশ্বাসঘাতক হায়না।
সেই ইট ভাটার লেবার সর্দারের কু-দৃষ্টি পড়ে প্রতাব বিশ্বাসের ১৫ বছর বয়সী মেয়ের দিকে।
গত শুক্রবার ২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সবাই ফিল্ডে কাজে যান প্রতাব মেয়েটি একাই বাসায় ছিলো সেই সুযোগে লেবার সর্দার মাসুদ ওই ঘরে প্রবেশ মেয়েটিকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এসময় পাশের ঘরে লোক চলে আসার পরে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে মাসুদ। তখন প্রতাব বিশ্বাসের মেয়ে মাসুদকে ধাওয়া করে নিয়ে রিতা নামের এক শ্রমিকের বাসার সামনে বসে লাঠি দিয়ে পিটানোর চেষ্টা করে।
তখন মাসুদ মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ঘটনা প্রকাশ পেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ফিল্ড ম্যানেজার বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়ে মেয়ের মার কাছ থেকে মুচলেকা রাখে বলে জানান, মেয়েটির মা।
ঘটনাটি ঘটেছে, বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানি গ্রামে অবস্থিত ফুজি ব্রিক ফিল্ডে। বিষয়টি থানা পুলিশের কাছে সংবাদ পৌছালে ভাটা ছেড়ে পালিয়ে যায় ম্যানেজার হাবিবুর রহমান।
বরিশাল মেট্টোপলিটনের বন্দর থানার চৌকস উপ-পুলিশ পরির্দশক(এসআই) সামসুল হক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাসুদকে আটক করে। এমন সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই থানার ওসি তদন্ত।
তিনি ঘটনার সহযোগীতা করার অপরাধে ভাটার সহকারী ম্যানেজার রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন।
পরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হােসেল তালুকদারের ফোনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ছেড়ে দেন ওসি তদন্ত সানোয়ার হোসেন।
এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হােসেল তালুকদারের সাথে সেল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দিয়েছেন। তাই কার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।
অপরদিকে ফুজি ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজার হাফেজ হাবিবুর রহমানের সাথে আলাপ করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানায়।
একটি সূত্র জানা গেছে, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে কতিপয় ব্যক্তিরা।জানা গেছে আটককৃত মাসুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা গ্রামের মোহন মিয়ার পুত্র।