বরিশাল নগরীতে দিনে দুপুরে তানভির খন্দকার নামের এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর ব্যস্তমত নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে ফিল্মি স্টাইলে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। যা নিয়ে বেশ আলোচনার সৃস্টি হয়েছে।
পরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান বিপ্লবের বাসা থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
যদিও পুলিশ বলছে, এটি অপহরণের মতো হলেও প্রকৃত অপহরণ নয়। কলেজ ছাত্রীকে উত্তক্ত করায় তার পরিবারের লোকেরা ওই যুবককে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে। অপহৃত যুবক তানভির খন্দকার নগরীর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা বাদশা খন্দকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ‘অপহৃত তানভীরের সঙ্গে একই এলাকার রাব্বী এন্টারপ্রাইজের মালিক মামুন মীরার মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে সোমবার দুপুরে মেয়ের ভাই রাব্বীসহ ৩-৪ জন যুবক তানভীরকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে।
এই ঘটনায় তানভীরের পরিবার থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে জানতে পারে তানভীরকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর উয়াউর রহমান বিপ্লবের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে বরিশাল মহানগরীর বিমানবন্দর থানার অফিসার পরিদর্শক (তদন্ত) শায় ফয়সাল আহমেদ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এটি অপহরণ নয়। প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ছেলেটি বখাটে। সে একটি মেয়েকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। এ কারণে মেয়ের পরিবারের লোকেরাই তাকে কাউন্সিলরের বাসায় ধরে নিয়ে যায়। সেখানেই বিমানবন্দর ও কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের মধ্যস্ততায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
তাছাড়া ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোন অভিযোগ দেননি। তারা অভিযোগ দিতে রাজিও নয়। তাই আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়নি।