বরিশাল আছমত আলী খান (একে) স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে সরকারি বরাদ্দের দুই টন চাল উত্তোলন কালে এক কথিত ফটোগ্রাফারকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) নগরীর ভাটারখাল এলাকাধিন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত প্রতারকের নাম মো. শাহ জালাল। সে বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি আঞ্চলিক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতো। এই ঘটনার স্কুল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে স্বাক্ষর জাল করে সরকারি বরাদ্দের চাল উত্তোলনের ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় একে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন এর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ফটো সাংবাদিক শাহ আলাল এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরেই একে স্কুলের প্রধান সম্পাদক শাহ আলাল এর সু-সম্পর্ক রয়েছে। ওই স্কুল এবং প্রধান শিক্ষকের সকল কর্মসূচি কভারেজ সহ অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করতেন তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বেলা ১২টার দিকে শাহ জালাল একে স্কুলের নামে দুই টন সরকারি বরাদ্দের চাল উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনিয় নির্ধারিত ফরম নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে যেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়।
এসময় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহ জালাল এর দেয়া চাল উত্তোলনের আবেদন ফরমে থাকা প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল বলে দাবী করেন। এ নিয়ে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়।
খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুজন চন্দ্র দে সহ পুলিশের একটি টিম তাকে শাহজালালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একই সাথে প্রধান শিক্ষককেও পুলিশের সাথে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে স্কুলের একাধিক শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, সরকারি বরাদ্দের চাল উত্তোলন করতে হলে ম্যানেজিং কমিটির নির্ধারিত ফরম থাকাটা বাধ্যতামুলক। যা প্রধান শিক্ষকের কাছেই সংরক্ষিত থাকে। সেই ফরম শাহজালাল এর কাছে থাকায় বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই ঘটনার সাথে প্রধান শিক্ষকের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারনা শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের।