বরিশালে পৃথক দূর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যারা সবাই মাহেন্দ্র যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত হয়েছেন এক নারীসহ চারজন।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কলসগ্রাম এলাকায় ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বরিশালে নিহতরা হলেন- বাবুগঞ্জ উপজেলার ছয় মাইল এলাকার আলতাফ হাওলাদারের ছেলে মো. সেন্টু হাওলাদার (৩২) ও একই উপজেলার রহমতপুর এলাকার যশোধা জীবন লাল দাসের ছেলে মাহেন্দ্র চালক মতি লাল দাস (৫০)।

ঝালকাঠিতে নিহতরা হলেন, বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া গ্রামের খোকন হাওলাদারের ছেলে মাহেন্দ্র চালক জসিম হাওলাদার (৪৫), নলছিটি উপজেলার কাবদেবপুর গ্রামের আজিজ খানের ছেলে রাজিব খান (৪০) ও একই উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সুরভী খানম (৩৫)।

নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী বলেন, “ভোর ৫টায় বেপারী পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাচ্ছিল। আর বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাঁচ যাত্রী নিয়ে একটি মাহেন্দ্র নগরীর রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল।

পথে দপদপিয়া জিরোপয়েন্ট এলাকায় দুই যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে জসিম ও রাজিব নিহত হন। আর আহত অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরভীর মৃত্যু হয়।”

ঘটনার পর দুর্ঘটনা কবলিত দুই যানবাহন সরিয়ে ফেলা হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে বাসটি আটক করা হলেও চালকসহ কাউকে আটক করা যায়নি বলে ওসি মুরাদ জানান।

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার এসআই মো. আব্দুস সালাম বলেন, “সকাল পৌনে ৬টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ব্রিজ থেকে একটি মাহেন্দ্র নগরীর রুপাতলী বাস টার্মিনালের উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়।

পথে কলসগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে চাকলাদার পরিবহনের একটি বাস মাহেন্দ্রটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাহেন্দ্র থেকে ছিটকে পড়ে তিনজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুইজন এবং আহত একজনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর চাকলাদার পরিবহনের চালকসহ বাসটি আটক করা হয়েছে।”