শামীম আহমেদ ॥ সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে পুলিশের মোটরসাইকেল মহড়া দেখে আতংকে গ্রামের বাজারের লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। তাদের মধ্যেই একজন সামসুল হক (৫৫) অসুস্থ হয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যান। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
হিজলার উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌলভীরহাট বাজারে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক সামসুল হক পূর্ব গুয়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: শাহারাজ হায়াত বলেন, শনিবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে সামসুল হক সরদারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ভয়ে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন তিনি।
গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, শনিবার বিকেলে পুলিশের ২০-২৫টা মোটরসাইকেলের মহড়া ওই এলাকা অতিক্রম করে। করোনাকালীন লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ এসেছে এমন আতংকে লোকজনের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়।
মহড়াটি যখন মৌলভিরহাট বাজারের মোবাইল টাওয়ারে কাছে আসে তখন অন্যদের সঙ্গে সামসুল হক সরদারও দৌড় দেন। পরে স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন তিনি রাস্তার ওপর পড়ে আছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বলেন, মহড়ায় থাকায় পুলিশ সদস্যরা ধর-ধর বলে ডাক দেয়ায় লোকজন আতংকিত হয়ে দৌড়াতে থাকেন।
মৃত সামসুল হকের চাচাতো ভাই মো: রতন সরদার বলেন, তিনি বাজারের অদুরে ছিলেন। হঠাৎ পুলিশের গাড়ি দেখে যে যেভাবে পাড়ে ভয়ে দৌড়াতে থাকে। আতংকে মারা গেছেন সামসুল হক।
অটোরিকশা চালক মনির হোসেন বলেন, মোবাইল টাওয়ারের কাছাকাছি দাড়ানো ছিলেন সামসুল হক। হঠাৎ পুলিশের ২০-২৫টি মোটরসাইকেল এগিয়ে এলে সরু রাস্তা পাড় হতে লাফ দেন সামশুল হক। একটু পরে কয়েকজনে গিয়ে দেখেন তিনি রাস্তায় পড়ে আছেন।
পুলিশের মহড়ায় থাকা হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে শনিবার বিকেলে তারা কাউরিয়া, মৌলভিরহাটসহ কয়েকটি এলাকায় মহড়া দিয়েছেন। তখন কেউ যদি ভয়ে দৌড় দেয় তাতে পুলিশের কিছু করার নেই।