বরিশালে পুলিশকে মারধর মামলায় তারেকসহ ৬ আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরিশালে পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় মাদক ব্যবসায়ী তারেকসহ ৬ আসামীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার বরিশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ রিমান্ড শুনানী শেষে এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর বিপ্লব মিস্ত্রী জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিলো। আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তিনি আরো বলেন, এই আসামীদের কাছ থেকে মামলার আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, তারেক শাহ, শহিদুল, স্বপন, অলি, পারভেজ, রাজিব।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ জানুয়ারী রাতে একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামী আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। উল্লেখ যে,বরিশালে মামলার এজাহার নামীয় আসামী আটকের পর ছিনিয়ে নেয়া এবং পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জানা গেছে কোতয়ালী পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি শহিদসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যেসব আসামি জড়িত তাদের আটকেও অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরের ডিসিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডিসিঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী তীরের একটি রেস্তোরাঁয় থেকে মামলার এজাহার নামীয় আসামীকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জয়ন্ত ।এসময় ভাটার খাল বস্তির হালিম শাহ’র পুত্র তারেক শাহ, সাদ্দাম শাহ সহ বেশ কিছু লোকজন এসআই জয়ন্তকে ঘিরে ফেলে এবং মামলা এজাহার নামীয় আসামীকে ছিনিয়ে নেয়।

এতে বাধা দিলে এসআই জয়ন্তসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের মারধর করে এরা। এঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫/৩০ জন অজ্ঞাত আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়। পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানিয়েছে এঘটনায় জরিতদের গ্রেফতার এখনো শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চলামন রয়েছে।

এদের মধ্যে ৭জনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ আটককৃতরা হলো তারেক শাহ, শহিদুল, স্বপন, অলি, পারুল বেগম, পারভেজ, রাজিব। আটকৃত আসামী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হলে সবাই সটকে পড়ে।