বরিশালে নির্যাতিত শিশু লমিয়া আক্তারের খোজ খাবর নিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে জান পুনাক বিএমপির সদস্যরা। এসময় পুনাক সদস্যদের মাতৃস্নেহ ও উপহার পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বরিশালের নির্যাতিত শিশু লামিয়া আক্তার। বুধবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিসেস পুলিশ কমিশনার পুনাক বিএমপি সভানেত্রী নূরে নাজনীন মোশারফ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে পুনাক সদস্যরা লামিয়া আক্তারকে হাসপাতালে দেখতে যায়।
এসময় সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা পুনাক বিএমপি (মিসেস উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি বিএমপি) ফেরদৌস আরা ভূঞা, সাধারণ সম্পাদিকা ও কোষাধ্যক্ষ পুনাক বিএমপি (মিসেস উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক বিএমপি ) দিলরুবা আলম, সদস্য পুনাক বিএমপি (মিসেস অতিঃউপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর বিএমপি) নাফিয়া নাজমিন নির্যাতিত শিশু লামিয়ার সাথে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে দেখা করেন। লামিয়া আক্তারের সাথে দেখা করে পুনাক সদস্যরা লামিয়া আক্তারকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতা করার আস্বাস দেন। এসময় পুনাক সদস্যদের মাতৃস্নেহ ও উপহার পেয়ে লামিয়া আক্তার অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেইজ ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ- বিএমপি’তে অভিযোগ তুলে ধরলে সেখান থেকেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মুলত গৃহকর্মী শিশু লামিয়া আক্তার মারিয়াকে নির্যাতনের ঘটনাটি কোন এক ব্যক্তি এই পেইজে অভিযোগ আকারে তুলে ধরেন।
সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কমিশনার মো. মোশারেফ হোসেন বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশসহ বিএমপি অপরাধ ও মিডিয়া শাখার সদস্যরা অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। সেই সাথে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহকর্ত্রী শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন গৃহকর্তা এনজিওকর্মী আশরাফুল চৌধুরী।’