বরিশালে পুকুরে মাছ শিকার করতে গিয়ে প্রাণ গেল জেলের

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশনের পুকুরে অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে মাছ শিকার করতে গিয়ে প্রবীর (৪৫) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে পুকুরে নেমে তিনি বিদ্যুৎস্পর্শে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

নিহত প্রবীর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- নগরীর বগুড়া রোডস্থ অক্সফোর্ড মিশন গির্জার ফাদার জন হালদার পুকুরে মাছ শিকার করতে প্রবীরসহ আরও কয়েক জেলেকে নিয়ে খবর দিয়ে আসেন। তারা মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পুকুরে মাছ শিকার শুরু করেন।

এসময় আকস্মিক প্রবীর নামের জেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে সহযোগী জেলেরা একটি ঘরে রেখে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে ডিউটিরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাছ শিকার এবং এতে জেলের প্রাণ যাওয়ার বিষয়টি ফাদার জন হালদার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এর আগেই প্রাণবিয়োগের এই ঘটনাটি কোনো না কোনো মাধ্যম সাংবাদিকদের কানে পৌছে যায়।

এই বিষয়ে জানতে ফাদার জন হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি স্কুলে ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলেকে স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগিতায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু এর আগেই মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

 

একজন দায়িত্বশীল লোক হয়ে কেন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পুকুরের মাছ শিকার করাচ্ছিলেন এমন প্রশ্নে তিনি তালগোল পাকিয়ে ফেলেন এবং দ্রুত মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বলেন ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে। সূত্রগুলো জানায়, প্রবীরকে দিয়ে ফাদার জন হালদার এর আগেও একাধিক অক্সফোর্ড মিশনের পুকুরে অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ লাগিয়ে মাছ শিকার করেন।

 

এনিয়ে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও মঙ্গলবার ফের একই দায়কায় মাছ শিকার শুরু করে। এই বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল হক জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

যদি এই বিয়োগান্তের ঘটনায় প্রবীরের পরিবার কোনো অভিযোগ করে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’