বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের ‘সাবেক’ এপিএসের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠেছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলা হয় বলে জানিয়েছেন নিজেকে সাবেক এপিএস দাবি করা শফিকুল ইসলাম পিন্টু।
নিজেকে মূলত শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ব্যক্তি উল্লেখ করে শফিকুল ইসলাম পিন্টু জানান, পদোন্নতিজনিত কারণে সম্প্রতি তিনি এপিএস পদ থেকে শিক্ষকতা পেশায় ফেরত যাওয়ার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। তিনি এপিএস পদ থেকে রিলিজ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিতও করেছেন এবং সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষা ভবনে যোগদান করার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
তাই তিনি নিজেকে সাবেক এপিএস দাবি করে বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল নগরের নবগ্রাম রোড সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের বিপরীতে মুসলিম পাড়ার বাসার সামনে ছিলেন তিনি। এ সময় মাসুদ, নাসির, সোহাগ, ইমরান, শুভ, সোহান, জুয়েল ও রেজবিসহ অজ্ঞাত কয়েকজন হামলা চালায়।
কি কারণে হামলা করেছে বলতে পারেন না জানিয়ে শফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, এদের সঙ্গে আমার কখনো কিছু হয়নি। অনেককে আমি ঠিকমতো চিনিও না।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোতয়ালি মডেল থানায় জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগে শফিকুল উল্লেখ করেন, তিনি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হিসাবে কর্মরত। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নগরীর বটতলা ক্যাফে ষ্টার রেস্টেুরেন্টে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুসলিম পাড়ার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
এ সময় মাসুদ, নাসির, সোহাগ, ইমরান, শুভ, সোহান, জুয়েল ও রেজবিসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন বেআইনি জনতা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে।
হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত করাসহ এলোপাতারিভাবে মারধর করেছে। তার ডাক-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত নাসির পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, মন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম পিন্টু সরকারি চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে তার কাছ থেকে দুই বছর আগে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন।
কিন্তু করোনাসহ নানা অজুহাতে চাকরি দেওয়া হয়নি। এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি। সম্প্রতি জানতে পারি তিনি স্যারের (প্রতিমন্ত্রী) এপিএস নেই। বাসায় গেলেও পাইনি। দুইদিন আগে বাসায় এসেছেন জানতে পেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসার সামনে যাই। তখন দেখতে পাই কয়েকজনের সঙ্গে এপিএস শফিক কথা বলছেন।
টাকা ফেরত চাইলে সঙ্গে থাকা লোকজন নিয়ে সাবেক এপিএস শফিক তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন নাসির। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শফিকুল ইসলাম।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিমুল করিম জানান, এপিএসের ওপর হামলার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা থাকলে অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।