বরিশালে পাচারকালে ৮ কন্টিন ডিজেলসহ ট্রলার জব্দ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল কীর্তনখোলা নদীতে চোরাই পথে অবৈধভাবে পাচারকালে ৮ কন্টিন ডিজেলসহ একটি ট্রলার আটক করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের সদস্যরা। মঙ্গলবার চরআইচা খেয়াঘাট থেকে এসব মালামাল আটক করা হয়।

কোস্টগার্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি টহল দল অভিযান পরিচালানা করে। তেলবাহি ট্রলার দেখতে পেয়ে ট্রলাটিকে ধাওয়া করে। কোস্টগার্ডের উপস্তিতি টের পেয়ে ট্রলাটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কোস্টগার্ড ট্রলারটিকে ধরতে সক্ষম হয়। তবে পাচারকারিরা পালিয়ে গেলেও তেল ও ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কীর্তনখোলা নদীতে রাতের অন্ধকারে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন জায়গা থেকে  তৈল নিয়ে আসা জাহাজ গুলো চরকাউয়া খেয়াঘাট থেকে দপদপিয়া ব্রীজ পর্যন্ত নোঙর করে রাখে । ঐ সমস্ত জাহাজের স্টাফ ও মাষ্টারদের যোগসাজসে তৈল চোরা কারবারিরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  তৈল চুরি করে। সেখান থেকে তৈল চোরা কারবারিরা প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা তৈল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু মাঝি হঠাৎ আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম এনামুল হক জানান, আমরা ইউ এন ও স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমদের অভিযান অব্যহত থাকবে এবং জব্দ কৃত ট্রলার তৈল ও টাকা বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রলার মাঝি বলেন,  তৈল চোরা কারবারিদের মধ্যে নাসির কারিকর, মিলন হাওলাদার, এবং স্থানীয় প্রভাবশালী আলাল গাজী কন্টিন প্রতি ৫০টাকা করে নেয়।

উল্লেখ্য, কীর্তনখোলার বিভিন্ন পয়েন্ট প্রতিদিন জ্বালানী তেল, সয়াবিন, পেট্রোল, ডিজেলসহ বিভিন্ন পন্য পাচার হয়ে আসছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান থাকলেও ফাক-ফোকড় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে তারা চোরাই পথে পাচার করে আসছে। মাঝে মধ্যে এসব তেল ধরা পড়লেও থেমে নেই চোরা কারবারিরা।